ধর্মপাশায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
০৯:৩৫ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
০৯:৩৫ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ
গ্রামবাসীর মানববন্ধন

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন মিলে ওই গ্রামের ৭/৮টি বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, মারধর ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের সামনের সড়কে গ্রামবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে জয়পুর গ্রামের শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমানের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন, একই গ্রামের গৃহিনী নাসিমা আক্তার, ভুক্তভোগী সাইদুর রহমান, স্থানীয় বাসিন্দা মুনসুর আহমেদ, রবিউস সানি, সাগর আহমেদ, আজিদ মিয়া প্রমুখ।

জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা ও বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত আকরাম হোসেনের ছোটভাই মজিবুর রহমান এবং সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের বড়ভাই আকরাম হোসেন গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের সঙ্গে আজিম মাহমুদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই চেয়ারম্যান এলাকায় যেসব অপকর্ম করে আসছেন, সেগুলোর প্রতিবাদ আমরাই করে থাকি। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০ ডিসেম্বর রাত দেড়টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৩০/৩৫ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক আমাদের বড়ভাই প্রয়াত আকরাম হোসেনের বসতঘরসহ আমাদের ৬/৭টি বসতঘর ভাঙচুর করেছে। এ সময় চেয়ারম্যান আজিমের লোকজন আমাদের দুই ভাইকে বসতঘর থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গ্রামের সামনের একটি নির্জন জায়গায় এলোপাতাড়ি মারধর করেছে। এছাড়া আমাদের স্ত্রী-সন্তানরা এসবের প্রতিবাদ করায় তাদেরকেও মারধর করাসহ নানাভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। 

তারা আরও বলেন, এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। আমরা এ ঘটনায় চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ ও তার গুণ্ডাবাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ইউনিয়নের প্রয়াত আকরাম হোসেন সাহেবের ছেলেরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। চুরি, চিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনার সঙ্গেও তারা জড়িত। ভুক্তভোগী লোকজনের সঙ্গে এ নিয়ে মারামারি হয়ে থাকতে পারে। এতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগুলো সঠিক নয়।  এলাকায় আমার বেশ সুনাম আছে। আর তা নষ্ট করার জন্য একটি চক্র অপেচষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

মধ্যনগর থানার ওসি (তদন্ত) নব গোপাল দাশ বলেন, হামলা, মারধর, ভাঙচুর ও নারী নির্যাতনের ঘটনার কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এসএ/আরআর-১০