দিরাই প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
০৫:১০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
০৫:১০ পূর্বাহ্ন
সিলেট থেকে দিরাইগামী একটি চলন্ত বাসে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ড্রাইভার ও সহযোগীর বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষার্থী নিজের সম্ভ্রম রক্ষায় বাস থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামবাসী থানার সামনে এসে বিক্ষোভ করেছেন।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ওই শিক্ষার্থীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ওই শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানিয়েছেন, সিলেট থেকে দিরাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে আসা বাসে (নম্বর সিলেট জ -১১০৭২৩) করে লামাকাজী থেকে দিরাই আসছিল ওই শিক্ষার্থী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এলে বাসে আর কোনো যাত্রী না থাকায় চালক ও হেলপার মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন মেয়েটি সম্ভ্রম রক্ষার জন্য বাস থেকে লাফ দিয়ে সড়কে পড়ে যায়।
গ্রামবাসী আহত অবস্থায় মেয়েটিকে দিরাই হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। মেয়েটির বাড়ি দিরাই পৌর শহরে। এ ঘটনায় মজলিশপুর গ্রামবাসী বিক্ষোভ করে থানায় আসে এবং ঘটনার বিচার দাবি করেন।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, মজলিশপুরের বিক্ষুব্ধ লোকজন থানায় এসেছিল। তারা বলেছে, বাসের চালক ও হেলপার মেয়েটির সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। নামার সময় মেয়েটি আহত হয়েছে। ইতোমধ্যে বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক-হেলপার পালিয়ে গেছেন।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, মেয়েটি জানিয়েছে বাসের চালক ও হেলপার তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। এ অবস্থায় মেয়েটি বাধ্য হয়ে বাস থেকে নামার সময় গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে প্রথমে দিরাই হাসপাতালে এবং পরে সিলেটে স্থানান্তর করা হয়েছে। মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
বিএ-০৯