দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
১০:১০ অপরাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
১১:৫০ অপরাহ্ন
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে মেয়ের ইটের আঘাতে ৬০ বছর বয়সের বৃদ্ধ মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত রাত সাড়ে ৮টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের আক্তাপাড়া (কুতুবপুর) গ্রামে।
মৃত মোছা. সফিকুন নেছা আক্তাপাড়া গ্রামের ইস্কন্দর আলীর স্ত্রী। এবং ঘাতক মেয়ে হালিমা বেগম (২২) তাঁদের মেয়ে ।
ঘাতক হালিমা বেগম ২ সন্তানের জননী ও ৭ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত মোছা. সফিকুন নেছার মেয়ে হালিমা বেগম (২২) বছরের বেশীর ভাগ সময়ই ভারসাম্যহীন থাকে। বিগত ৩/৪ বছর পূর্বে হালিমা বেগমকে পার্শ্ববর্তী জামালগঞ্জ উপজেলার কামলাবাজ গ্রামে আলী নুর এর সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বিবাহের পর বেশিরভাগ সময়ই ভারসাম্যহীন থাকায় হালিমা বেগম (২২) তাহার পিত্রালয় আক্তাপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছিল।
গত সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় তাহার মা মৃত মোছা. সফিকুন নেছা হালিমা বেগমের রাতের বিছানা তৈরী ও খাবার দিতে গেলে লোহার শিকলে বাঁধা হালিমা বেগম পাশে থাকা ইট দিয়ে তার মা মোছা. সফিকুন নেছার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে মৃত সফিকুন নেছার মাথার মগজ বেরিয়ে আসে।
তাৎক্ষনিক পরিবারের লোকজন মোছা. সফিকুন নেছাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মোছা. সফিকুন নেছাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষনা করেন।
পরে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘাতক মেয়েটিকে আটক করা হয়েছে। সে মানুষিক ভারসাম্য কি না সেটা নিশ্চিত করতে ঐ মেয়েকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে বুঝা যাবে মেয়েটি মানুষিক ভারসাম্য কি না। তবে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, মেয়েটি মানুষিক ভারসাম্য।’
বি এন-০৮