জকিগঞ্জ প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৩০, ২০২০
০১:১৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ৩০, ২০২০
০১:১৪ পূর্বাহ্ন
সিলেটের জকিগঞ্জে ৫ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদ জকিগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মানবন্ধন কর্মসূচি শেষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ স্মারকলিপি দেন তারা।
বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদের ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের নূন্যতম বেতন গ্রেড ১১তম প্রদান এবং শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে ৩য় শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি, পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/অফিস সুপার করা এবং পেশাগত উন্নয়নে কম্পিউটারসহ অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের দ্রুত ব্যবস্থা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত চাকুরীবিধি-২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার ব্যবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দ্রুত উচ্চতর পদে পদোন্নতি এবং সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা।
কর্মচারী পরিষদের সভাপতি নাঈমুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক সুশিল কান্ত রায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল কুমার রায়ের যৌথ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রায় ৫০ হাজার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী জাতি গঠনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চরম বৈষম্যের মধ্যে কর্মচারীদের মানবেতর দিন কাটাতে হয়। জাতির জনকের কন্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনে যুগোপযোগী শিক্ষানীতি উপহার দিয়েছেন। এই শিক্ষানীতির আলোকে দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত চাকুরী বিধিমালা-২০১২ জারি করা হয়। প্রণিত বিধিমালা অনুযায়ী গভর্নিংবডি/পরিচালনা পরিষদে কর্মচারীদের একজনকে সদস্য রাখার বিষয়টি অদ্যাবধি কার্যকর করা হয়নি। গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের সদস্য না রাখাসহ চাকুরী বিধিমালা যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে। জাতীয় সংসদে পাশকৃত আইন, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুসরণ করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী চাকুরীবিধি প্রণয়নের আইনটি যদি প্রচলিত আইনের সঙ্গে কোথাও সাংঘর্ষিক হয়ে থাকে তা সংশোধনের দায়িত্ব কার? চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে অবসর গ্রহণ পর্যন্ত ৩০/৪০ বছরে কর্মচারীদের বেতন গ্রেডের কোনো পরিবর্তন হয় না। চাকরিজীবনে পদোন্নতি নেই। চাকুরীবিধি অনুসরণ না করার কারণে কর্মঘন্টা ও ওভার টাইম নেই।
নেতৃবৃন্দ তাদের দাবিসূমহ আলোচনার মাধ্যমে অনতিবিলম্বে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উল্লেখ করেন, নায্য দাবি আদায় না হলে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে কর্মচারীদের দাবি আদায়ে তারা বাধ্য হবেন।
ওএফ/আরআর-০৩