তাহিরপুর প্রতিনিধি
জানুয়ারি ০৮, ২০২১
১০:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ০৮, ২০২১
১০:৪৮ অপরাহ্ন
যৌতুক না পেয়ে সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছেন পাষন্ড স্বামী। সেই সঙ্গে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর রেখে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী স্ত্রী।
নির্যাতিতা নারী সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বীরেন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত নুরুজ্জামানের মেয়ে শেফালী আক্তার (৩১)। তিনি বর্তমানে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
শেফালী আক্তার জানান, ৭ বছর পূর্বে তার বিয়ে হয়েছিল পার্শ্ববর্তী মধ্যনগর থানার উত্তর বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র সোহরাব মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের সময় তার বাবা নুরুজ্জামান যৌতুক হিসেবে সোহরাবকে লক্ষাধিক টাকা দিয়েছিলেন। একটি সন্তান নিয়ে তাদের সংসার ভালোই চলছিল। সম্প্রতি তিনি আবার গর্ভবতী হন। এরই মধ্যে স্বামী সোহরাব তাকে টাকার জন্য বিভিন্ন সময় চাপ দিতে থাকেন। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো। এমনকি প্রায় সময় তার স্বামী তাকে মারধরও করতেন।
তিনি জানান, গত বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাতে এ নিয়ে আবার কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সোহরাব হোসেন তাকে বেধড়ক মারধর করেন এবং পরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর রেখে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেন। রাতে তিনি পার্শ্ববর্তী লোকমান মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেন। ঘটনার সংবাদ পেয়ে শেফালী আক্তারের বড় ভাই সেলিম মিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাকে চিকিৎসার জন্য আহত অবস্থায় তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
বংশিকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রামপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুজ্জামান বলেন, 'ঝগড়াঝাটির বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে জোর করে তালাকনামায় স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।'
উত্তর বংশিকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেল্লাল হোসেন বলেন, 'সোহরাব মিয়া তার স্ত্রীর স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার বিষয়টি আমাকে বলেছে। জোর করে তাকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই।'
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোহরাব হোসেনের দাবি, স্ত্রী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলে নিজেই বাড়ি থেকে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে মধ্যনগর থানার ওসি (তদন্ত) নব গোপাল দাস বলেন, 'এ বিষয়ে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
এএইচ/বিএন-০৫/আরআর-০১