জগন্নাথপুরে কেতন ওড়াবেন নতুনরা

আলী আহমদ, জগন্নাথপুর


জানুয়ারি ১৫, ২০২১
০৩:৪২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ১৫, ২০২১
০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন



জগন্নাথপুরে কেতন ওড়াবেন নতুনরা

'ঐ নতুনের কেতন ওড়ে/তোরা সব জয়ধ্বনি কর'- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার মতোই সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে এবার নতুনরা কেতন ওড়াবেন। এই ওয়ার্ডে তিনজন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন- মল্লিক ইমরান মিয়া (পানির বোতল), ইমদাদুল হোসেন (পাঞ্জাবি) ও জিতু মিয়া (উটপাখি)। তারা সবাই নতুন মুখ।

স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, আগামী ১৬ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আর মাত্র দুইদিন বাকি আছে। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বিরামহীন জনসংযোগ, গণসংযোগ আর প্রচার কাজ। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা চলছে। এই প্রচার শেষ হবে আজ রাত ১২টায়। 

স্থানীয়রা জানান, ২ নম্বর ওয়ার্ডে তিন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে মল্লিক ইমরান মিয়া এই মুহূর্তে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। কারণ হিসেবে তাদের দাবি মল্লিক ইমরান ইনাতনগর এলাকা থেকে একক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটের ময়দানে আঞ্চলিকতার প্রভাব পড়তে পারে। এজন্য তার অবস্থান কিছুটা এগিয়ে। অন্যদিকে অপর দুই প্রার্থী জিতু মিয়া ও ইমদাদুল হোসেন লুদরপুর এলাকার বাসিন্দা। এই দু'জন একই এলাকার হওয়াতে তাদের ভোট ভাগাভাগি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে। তিনজনই প্রচারে এগিয়ে আছেন।

কাউন্সিলর প্রার্থী মল্লিক ইমরান মিয়া বলেন, 'একটি আধুনিক উন্নত সমৃদ্ধ ওয়ার্ড গঠনের লক্ষ্যে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে প্রার্থী হয়েছি। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।'

কাউন্সিলর প্রার্থী জিতু মিয়া বলেন, 'ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।'

আরের কাউন্সিলর প্রার্থী ইমদাদুল হোসেন বলেন, 'ওয়ার্ডবাসীর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই। ইনশাআল্লাহ ভোটাররা পাঞ্জাবি প্রতীককে বিজয়ী করবেন।'

জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, জগন্নাথপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৭৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯২৬ জন ও নারী ভোটার ৮৪৮ জন।'

 

এএ/আরআর-০৮