রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন : কারাগারে সুনামগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


জানুয়ারি ২৫, ২০২১
১০:২০ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৫, ২০২১
১০:৩৯ অপরাহ্ন



রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন : কারাগারে সুনামগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর

হোসেন আহমদ রাসেল

সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দুই রোহিঙ্গা নাগরিক জন্মনিবন্ধন প্রদান করার মামলায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) হোসেন আহমদ রাসেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুদরত-এ-ইলাহীর আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন চাইলে আদালৎ জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি একই মামলায় আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন পৌর মেয়র নাদের বখতসহ ৫ জন ।

জানা গেছে, গত ১৮ জানুয়ারি আদালত থেকে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) হোসেন আহমদ রাসেল, পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী পিযুষ কান্তি তালুকদার, পৌরসভার জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধক ও স্যানিটারি পরিদর্শক মো. সেলিম উদ্দিন, পৌরসভার মেয়র নাদের বখত ও সুনামগঞ্জ বারের আইনজীবী কাওসার আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। হোসেন আহমদ রাসেল বাদে ৫ জন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও পুলিশ অভিযোগপত্রে তাদের নাম যুক্ত করেছে। গত বৃহস্পতিবার একই আদালত থেকে জামিন পান পৌর মেয়র নাদের বখত ও আইনজীবী কাওসার আলম। সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত এ ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, যখন এসব সনদপত্র দেওয়া হয় তখন তিনি ঢাকায় ছিলেন। মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) হোসেন আহমদ রাসেল। তাই এ প্রক্রিয়ার কোনোভাবেই তিনি যুক্ত নন।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা পাসপোর্ট কার্যালয়ে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পাসপোর্ট করতে আসেন দুই রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন। তারা টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চার ব্যক্তির সহযোগিতায় সুনামগঞ্জে আসেন। এই চার ব্যক্তি জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। ওইদিন সকালে পাসপোর্ট করতে গিয়ে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। বিকেলে আবার ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দিতে পাসপোর্ট কার্যালয়ে গেলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে দুই রোহিঙ্গা ও তাদের সহযোগী চার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেন পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। সেখানে পুলিশের কাছে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

ওইদিনই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার তেরানগর গ্রামের মো. ফরহাদ আহমদ (৩৬), রামনগর গ্রামের মো. নূর হোসেন (২৩), সুজাতপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন (২৪) ও আমির উদ্দিনকে (২৩) আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার। 

সুনামগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক সেলিম নেওয়াজ বলেন, 'মামলায় পলাতক থাকা আসামি সাবেক এই কাউন্সিলর আদালতে আত্মসমপর্ণ করে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।'

 

এসএস/আরআর-০৯