কুয়াশায় ঢাকা শায়েস্তাগঞ্জ, মহাসড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা

সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক, শায়েস্তাগঞ্জ


জানুয়ারি ২৫, ২০২১
১০:৫৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৫, ২০২১
১০:৫৪ অপরাহ্ন



কুয়াশায় ঢাকা শায়েস্তাগঞ্জ, মহাসড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে শৈত্যপ্রবাহ। এতে করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মাঘের শুরুতেই হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ঘন কুয়াশায় উপজেলার ছিন্নমূল, অসহায় ও হতদরিদ্রদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। আর সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও অন্যান্য শ্রমজীবী লোকজন। মাঝে মাঝে নিরুত্তাপ রোদের দেখা মিললেও দিনের এক তৃতীয়াংশ সময় ঢাকা থাকে সূর্য। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না, অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এতে করে মানুষের জন্য জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। এখন কৃষকরা বোরো চাষের জন্য জমি তৈরি করছেন, জমিতে পানি সেচ চলছে। কিন্তু তীব্র শৈত্যপ্রবাহের জন্য তারাও ঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। অন্যদিকে ঠান্ডার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্দি, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত নানা রোগবালাই। নানা সমস্যায় কষ্টে দিনাতিপাত করছেন শায়েস্তাগঞ্জবাসী।

এদিকে শৈত্যপ্রবাহের কারণে সকালে ও সন্ধ্যায় প্রচুর কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। কুয়াশার কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গতকাল রবিবার রাতেও সড়ক দুর্ঘটনায় একজন স্কুল শিক্ষক নিহত হয়েছেন। প্রচন্ড কুয়াশায় গাড়ি চালালে রাস্তাঘাট ঠিকমতো দেখা না যাওয়ার কারণেই বেড়েছে দুর্ঘটনা। 

অলিপুর এলাকার ট্রাকচালক আব্দুল জলিল বলেন, 'এ কয়েকদিন প্রচুর কুয়াশা নামছে। রাতের বেলা হেডলাইটের আলোতেও ভালো করে রাস্তা দেখা যায় না। জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাতে হয়।'

ব্রাহ্মণডুরার গাড়িচালক আতাউর বলেন, 'কুয়াশার কারণে আমি রাতের ডিমান্ড এড়িয়ে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করি। তবুও মাঝে মাঝে কুয়াশায় ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালানো লাগে।'

তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিপদে আছে বিভিন্ন পশু-পাখিও। প্রায় প্রতিদিনই মহাসড়কে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীকে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যেতে দেখা যাচ্ছে। রাতের বেলা রাস্তা পারাপার হতে গেলে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারাতে হয় তাদের। ঘন কুয়াশার মাঝে সড়কে চুরি-ডাকাতির ঝুঁকিও বেশি।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুল ইসলাম বলেন, 'সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে তীব্র কুয়াশা দেখা যায়। যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, তাই আমরা ইতোমধ্যে টহল বৃদ্ধি করেছি। এর সঙ্গে মহাসড়কের পাশে যাতে কেউ কোনো গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখতে না পারে সেদিকে নজরদারি করছি। চালকদেরও বিভিন্নভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছি।'

 

এসডি/আরআর-১১