বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন সুরেশরঞ্জন বসাক

নিজস্ব প্রতিবেদক


জানুয়ারি ২৬, ২০২১
০১:২১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৬, ২০২১
০১:২৪ পূর্বাহ্ন



বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন সুরেশরঞ্জন বসাক

-ছবি সংগৃহীত

ঘোষণা করা হলো ২০২০ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। অনুবাদ সাহিত্যে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সুরেশরঞ্জন বসাকসহ ১০ বিভাগে ১০ জন এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন।

সোমবার বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২০ ঘোষণা করেন।

এবার কবিতায় মুহাম্মদ সামাদ, কথাসাহিত্যে ইমতিয়ার শামীম, প্রবন্ধ/গবেষণায় বেগম আকতার কামাল, অনুবাদে সুরেশরঞ্জন বসাক, নাটকে রবিউল আলম, শিশুসাহিত্যে আনজীর লিটন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় সাহিদা বেগম, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞানে অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, আত্মজীবনীতে ফেরদৌসী মজুমদার এবং ফোকলোর বিভাগে মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান এ পুরস্কার পেয়েছেন।

অধ্যাপক সুরেশ রঞ্জন বসাক ১৯৫২ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম সারির জাতীয় পত্রিকাগুলোতে নিয়মিত সাহিত্য সমালোচনা, প্রবন্ধ, কবিতা ও অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও বাংলা একাডেমীসহ দেশের বিশিষ্ট প্রকাশনা সংস্থাগুলোতে থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার বই। সুরেশ রঞ্জন বসাকের প্রকাশিত প্রবন্ধ ৫১টি, গ্রন্থ আছে ২১টি। উল্ল্যেখযোগ্য হলো সাহিত্য: নিকট সময় দূরের দেশ, কালের কবিতা ও অন্যান্য প্রবন্ধ, গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের গল্প : একটি অপহরণ সংবাদ, কাবুলের গ্রন্থবণিক, দ্য প্রফেট, রীবন্দ্রনাথ ও তিরিশোত্তর বাংলা কবিতা প্রভৃতি, ৭০০ বছরের ইংরেজি প্রেমের কবিতা, ১০০ বছরের ইংরেজি কবিতা, এশিয়ার কবিতা। এছাড়া ইংরেজি ভাষায় রচিত ‘দ্যা হিউম্যান হোল’, টোওয়ার্ডস আন্ডারস্ট্যান্ডিং : অ্যান  ইন্ট্রোডাকশন টু পয়েট্রি।

অধ্যাপক সুরেশ রঞ্জন বসাক দেশে ও দেশের বাইরে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে তিনি সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কুল অব সোশ্যাল সাইন্সের ডিনের দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারটা তার কাছে অবিশ্বাস্য বলেই অভিব্যক্তি ব্যক্ত করলেন সিলেট মিরর’র কাছে। তিনি বলেন, ‘বাংলা একাডেমির মতো একটি প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার প্রাপ্তি যে কোনো বিবেচনায়ই সম্মানের। এটা এক ধরনের স্বীকৃতিও।

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো আকাক্সক্ষা বা প্রত্যাশা নিয়ে লেখালেখি শুরু করিনি। শখের বসে জাতীয় দৈনিকগুলোতে লেখতাম। প্রবন্ধ দিয়ে শুরু করলেও এক পর্যায়ে হাত দেই অনুবাদে। কিন্তু আমার অনুবাদের হাত বই প্রকাশযোগ্য বলে কখনও মনে হয়নি। কবি শামসুর রহমানের অনুপ্রেরণায় ২০০২ সালে বই প্রকাশ করি। একাধিকবার বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য আমি মনোনিত হলেও শেষ পর্যন্ত পুরস্কার পাইনি। এবারও সেরকমই হতে পারে মনে করে আর বিশেষ আগ্রহ দেখাইনি। কিন্তু যখন জানলাম, তখন নিজের কাছেও অবিশ^াস্য মনে হয়েছে। তবে যেকোনো পুরস্কারই আনন্দের।’

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির অভিনন্দন : বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ায় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি পরিবারের পক্ষ থেকে অধ্যাপক সুরেশ রঞ্জন বসাককে অভিনন্দিত করা হয়েছে। এক অভিনন্দন বার্তায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘১৯৫৫ সালে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার ৫ বছর পর ১৯৬০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। অত্যন্ত সম্মানজনক এই পুরস্কারে সুরেশ রঞ্জন বসাক মনোনীত হওয়ায় আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। বাংলা সাহিত্য সম্ভারে তিনি আরও বহুদিন মূল্যবান রত্ন যোগ করে যাবেন, এই আমাদের প্রত্যাশা।’

আরসি-০১