কিবরিয়া হত্যার বিচার শেষ হয়নি ১৬ বছরেও

হবিগঞ্জ প্রতিনিধ


জানুয়ারি ২৭, ২০২১
০১:৫৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৭, ২০২১
০১:৫৮ অপরাহ্ন



কিবরিয়া হত্যার বিচার শেষ হয়নি ১৬ বছরেও

১৬ বছরেও শেষ হলো না সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার বিচার কাজ। অথচ তদন্ত কাজে সময় ক্ষেপণ করা হয়েছে প্রায় ১০ বছর। গত পাঁচ বছরে মামলার মোট ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

তিন দফায় এ মামলার তদন্ত করে সিআইডি। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সিলেট রেঞ্জের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। পরে গত ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি সরোয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল জানান, এ মামলায় মোট ১৭১ জন সাক্ষ্য মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। একই ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায়ও ২০২০ সনের ২২ অক্টোবর চার্জ গঠন করা হয়।

আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) উভয় মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ মামলার মূল আসামিদের বিরুদ্ধে সারাদেশে জঙ্গি হামলা সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। তাদেরকে দেশের বিভিন্ন আদালতে হাজির করার জন্য এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করতে হয়। তাই মামলার ধার্য তারিখে সব সময় আসামিদের আদালতে হাজির করা সম্ভব হয় না। এতে মামলার বিচার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। মামলার আসামিদের মধ্যে তিন জনের ইতোমধ্যে অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এরা হচ্ছে, মুফতি আব্দুল হান্নান, শরীফ সাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপন। 

এদিকে, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরীসহ নয়জন আসামি পলাতক রয়েছে। এছাড়া, এ মামলার আসামি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গৌছসহ জামিনে রয়েছেন ৯ জন।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের এক জনসভা শেষে গ্রেনেড হামলায় কিবরিয়া ও তার ভাতিজা মঞ্জুরুল হুদাসহ ৫ নেতাকর্মী নিহত এবং হবিগঞ্জ-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরসহ ৭০ জন আহত হন। ঐ দিন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান সদর থানায় বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন।

এসআর/বিএ-০২