ধর্মপাশায় নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


জানুয়ারি ২৯, ২০২১
০২:৪১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৯, ২০২১
০২:৪১ পূর্বাহ্ন



ধর্মপাশায় নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় চার সন্তানের জননীকে (২৮) ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি গ্রামে গত সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই নারী নিজে বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের রাজাপুর রংপুরহাটি গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে জহিরুল ইসলামকে (২০) আসামি করে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ধর্মপাশা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

ভুক্তভোগী নারীর পরিবার ও ধর্মপাশা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই নারীর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পাশ্ববর্তী নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার একটি জামে মসজিদের ইমাম পদে নিয়োজিত রয়েছেন। সংসারজীবনে ওই নারীর তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী নারী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিজেদের বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। একই ইউনিয়নের রাজাপুর রংপুরহাটি গ্রাামের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম রাত সাড়ে ১২টার দিকে টিন ও কাঠের তৈরি দরজা খুলে তাদের বসতঘরে ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে ওই নারীকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় আক্রান্ত নারী চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে জহিরুল তার মুখ চেপে ধরেন। এ অবস্থায় দু'জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এতে ওই জহিরুলের নখের আঁচড়ে আক্রান্ত নারীর মুখের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের ঘুম ভেঙে গেলে তাদের মধ্যে একজন ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে দিলে পূর্বপরিচিত হওয়ায় পরিবারের সবাই জহিরুলকে চিনে ফেলেন। এ অবস্থায় দ্রত জহিরুল সেখান থেকে সটকে পড়েন। 

অভিযুক্ত জহিরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, 'আমাকে জড়িয়ে ওই পরিবারটি মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছে।'

আক্রান্ত নারীর স্বামী বলেন, 'মান-সম্মানই আমাদের সম্পদ। এ ঘটনায় জড়িত জহিরুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।'                               

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করার ঘটনা নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি।  ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

এসএ/আরআর-১২