সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
০৪:০১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
০৪:০১ পূর্বাহ্ন
দেশের উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে আসনের ক্ষেত্রে কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে, উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্নাতক সম্মান, স্নাতক পাস ও সমমান কোর্সে ১৩ লাখ ২০ হাজারের মতো আসন রয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে উচ্চ শিক্ষায় আসনের চেয়ে পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি- এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আজ রবিবার (৩১ জানুয়ারি) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইউজিসি। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী আসন সংখ্যার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
ইউজিসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উচ্চশিক্ষায় ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজার ৯৫টি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩ হাজার ৬৭৫টি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৮১৫টি, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজারটি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৭ হাজার ৭৫৬টি, দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪০টি, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ১০ হাজার ৫০০টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩০টি, ৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২ হাজার ৬টি, টেক্সটাইল কলেজে ৭২০টি, সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফরি ৫ হাজার ৬০০টি, ১৪ টি মেরিন অ্যান্ড অ্যারোনটিকাল কলেজে ৬৫৪টি, ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৫০০টি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ২৯০টি আসন রয়েছে।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, চলতি বছর উচ্চশিক্ষায় ভর্তিতে আসনের ক্ষেত্রে কোনো সংকট হবে না। প্রায় সব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন। তবে পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিষয়ে ভর্তিতে তীব্র প্রতিযোগিতা হবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২০টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৬টি কৃষি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চলতি সপ্তাহে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে জেএসসি ও এসএসসির ফল মূল্যায়ন করে এইচএসসি’র ফল দেওয়া হয়েছে।
ইউজিসির পাঠানো তথ্যে ও ২০২০ সালের বিশেষ মূল্যায়নে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর তথ্যের মধ্যে প্রায় ৪৭ হাজার ব্যবধান রয়েছে। অর্থাৎ আসনের তুলনায় এ শিক্ষার্থী বেশি রয়েছে।
এএফ/০৩
