ধর্মপাশা প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
১০:৫২ অপরাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
১১:৪২ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানাধীন বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ধোপাঘাট গ্রাম থেকে নবী হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ।
আজ বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের কৃষক আতাবুর রহমান ছেলে।
মধ্যনগর থানা পুলিশ, এলাকাবাসী ও ওই কিশোরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ধোপাঘাট গ্রামের কিশোর নবী হোসেন ( ১৬) তার বাবা কৃষক আতাবুর রহমানের সঙ্গে নিজেদের জমিতে কৃষি কাজ করতো।
ওই কিশোরের বয়স যখন আড়াই বছর তখন তার বাবা মায়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
মঙ্গলবার (২ফেব্রুয়ারি) রাত আটটার দিকে ওই কিশোর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে প্রতিবেশি লোকজনদের সঙ্গে পাশের নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের বাঘবেড় নামক এলাকায় অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে যায়।
সেখান থেকে ওইদিন রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ফিরে এসে নিজেদের গোয়ালঘরে ঢুকে পড়ে। এক পর্যায়ে গোয়ালঘরের আড়ের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
পরে ওহীদুল নামের সমবয়সী প্রতিবেশী এক কিশোর ঘরের আড়ের সঙ্গে নবী হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে সজোরে চিৎকার দিলে পরিবারের লোকজন এসে ওই কিশোরের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
খবরটি থানা পুলিশকে জানানো হলে মধ্যনগর থানা পুলিশ আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে মধ্যনগর থানা পুলিশ ওই কিশোরের বাড়িতে গিয়ে ওই লাশটি উদ্ধার করে।
ধোপাঘাট গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরে সম্পর্কে দাদা মুক্তুল হোসেন (৬০) বলেন, ‘আমার নাতি নবী হোসেন খুবই শান্ত প্রকৃতির ছিল। কেন যে সে আত্মহত্যা করলো বুঝতে পারছি না।’
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মল দেব বলেন, ‘উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ধোপাঘাট গ্রামের কিশোর নবী হোসেনের বয়স যখন আড়াইবছর তখন তার বাবা -মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এ নিয়ে ওই কিশোর শিশুকাল থেকেই হতাশায় ভুগছিল। আর এ কারণেই সে ঘোয়ালঘরের আড়ের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। এই মৃত্যু নিয়ে পরিবারের সদস্যদের কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় ওই কিশোরের লাশ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্য মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
এস এ/বি এন-০৯