জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
১০:৩৩ অপরাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
১০:৪১ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও আমিনপুর গ্রামে শয়নকক্ষে রক্তাক্ত স্বামীর লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়া দ্বিতীয় স্ত্রী রেনু বেগম (৩০)কে গ্রেপ্তার করে রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার রাতে উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের স্বজনী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আলেক মিয়ার মেয়ে নাছিমা বেগম বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় রেনু বেগম কে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জগন্নাথপুর থানায় দায়েরকৃত মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও আমিনপুর গ্রামের দিনমজুর আলেক মিয়া (৫০) তিন মাস আগে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাগময়না টেকুয়া গ্রামের মৃত আরমান মিয়ার স্বামী পরিত্যক্ত মেয়ে রেনু বেগম (৩০) কে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
আলেক মিয়ার প্রথম স্ত্রী ও তিন মেয়ে দুই ছেলের সংসারে আলাদা ঘরে নব বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন।
শুক্রবার রাতে নিজ শয়নকক্ষে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাতে যান তিনি।
শনিবার সকালে দেখা যায় আলেক মিয়া মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর স্ত্রী ঘরে নেই । আলেক মিয়ার মাথায় আঘাতও রক্তের দাগ ছিল ।
মাথার পাশে একটি রক্তাক্ত কাঠের টুকরো পড়ে ছিল। বিষয়টি তাঁর সন্তানরা থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ রাতে উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের স্বজনী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী কে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আমরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য পাঠিয়েছি।
জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত মুসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। নিহত আলেক মিয়ার মেয়ে নাছিমা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’
এ এ/বি এন-১০