জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১
০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১
০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করেছেন দ্বিতীয় স্ত্রী রেনু বেগম। আজ রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলগ্রহণকারী জগন্নাথপুর জোন এর বিচারক শুভ দীপ পালের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন গ্রেপ্তারকৃত স্ত্রী।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারণেই বৃদ্ধ স্বামী আলেক মিয়াকে হত্যা করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
তিনি জানান, গত শুক্রবার রাতে স্বামীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রীর ঝগড়া বাঁধে। স্বামী তাকে গালিগালাজ এবং মারধর করায় ক্ষোভে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর মাথায় কাঠের টুকরো দিয়ে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত হওয়ার পর স্ত্রী ভোররাতে ঘর থেকে পালিয়ে যান। আদালতে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন স্ত্রী রেনু বেগম। পরে তাকে সুনামগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও আমিনপুর গ্রামের দিনমজুর আলেক মিয়া (৫০) তিনমাস আগে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাগময়না টেকুয়া গ্রামের মৃত আরমান মিয়ার 'স্বামী পরিত্যক্ত' মেয়ে রেনু বেগমকে (৩৫) দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। আলেক মিয়ার প্রথম স্ত্রী এবং তিন মেয়ে ও দুই ছেলের সংসারে আলাদা ঘরে নববিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন আলেক। গত শুক্রবার রাতে নিজ শয়নকক্ষে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাতে যান তিনি। শনিবার সকালে দেখা যায় আলেক মিয়া মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর ঘরে স্ত্রী নেই। আলেক মিয়ার মাথায় আঘাত ও রক্তের দাগ ছিল। মাথার পাশে একটি রক্তাক্ত কাঠের টুকরো পড়ে ছিল। বিষয়টি তার সন্তানরা থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ শনিবার রাতে উপজেলার স্বজশ্রী গ্রাম থেকে রেনু বেগমকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নিহত আলেক মিয়ার মেয়ে নাছিমা বেগম বাদী হয়ে তার সৎ মা রেনুকে আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এএ/আরআর-১৮