ধর্মপাশায় ট্রলির ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
১০:০৬ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
১০:০৬ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় ট্রলির ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের মহেশখলা বাজারের পশ্চিমপাশের সড়কে পাথরবোঝাই একটি ইঞ্জিনচালিত হ্যান্ডট্রলির ধাক্কায় সড়কের নিচে পড়ে গিয়ে তানজীদ মিয়া (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত শিশুর বাড়ি উপজেলার সাউদপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ওয়াসিম মিয়ার ছেলে।

ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থল থেকে হ্যান্ডট্রলির চালক সাইকুল ইসলামকে (২১) আটক করেন স্থানীয় লোকজন। তার বাড়ি তাহিরপুর উপজেলার তেরঘর রতনপুর গ্রামে।

এলাকাবাসী, মধ্যনগর থানার পুলিশ ও নিহত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের কালাগড় এলাকায় একটি সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে পাশের তাহিরপুর উপজেলার বাগলী এলাকা থেকে পাথরবোঝাই একটি ইঞ্জিনচালিত হ্যান্ডট্রলি নিয়ে ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের কালাগড় এলাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন সাইকুল। সকাল ৯টার দিকে হ্যান্ডট্রলিটি উপজেলার মহেশখলা বাজারের পশ্চিমপাশের সড়কে আসে। এ সময় শিশু তানজিদ মিয়া ওই সড়কের উপর দিয়ে প্রতিবেশী এক শিশুর (১২) সঙ্গে নিজের বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় ট্রলিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তানজীদকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তানজিদ সড়কের নিচে ছিটকে পড়ে যায় এবং তার মাথার খুলি ফেটে গিয়ে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। আশেপাশে থাকা স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে সঙ্গে সঙ্গে হ্যান্ডট্রলির চালক সাইকুল ইসলামকে আটক করে মহেশখলা বাজারে নিয়ে যান। এ সময় শিশু তানজীদকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান তার স্বজনেরা। খবর পেয়ে মধ্যনগর থানার পুলিশ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহিষখলা বাজারে গিয়ে সাইকুলকে আটক করে মধ্যনগর থানায় নিয়ে যায়। 

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মল দেব বলেন, 'এ ঘটনায় নিহত শিশুটির পরিবারের সদস্যদের কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুটির লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনা নিয়ে শিশুটির পরিবার মামলা না করায় ইঞ্জিনচালিত হ্যান্ডট্রলির চালক সাইকুলকে বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসাইনের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'

বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসাইন বলেন, 'ঘটনাটি নিয়ে শিশুটির পরিবার মামলা করতে আগ্রহী নয়। তাই এটি স্থানীয়ভাবে দুইপক্ষের লোকজন বসে আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করবেন বলে আমাকে জানানো হয়েছে।'

 

এসএ/আরআর-০৮