সিলেট মিরর ডেস্ক
মার্চ ১৭, ২০২১
০৮:০০ অপরাহ্ন
আপডেট : মার্চ ১৭, ২০২১
১০:৫৭ অপরাহ্ন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় সুনামগঞ্জের শাল্লায় গ্রেপ্তারকৃত ঝুমন দাসের গ্রামে তার (মামুনুল) অনুসারীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা গ্রামের অন্তত ২০টি ঘরবাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মামুনুল হকের অনুসারীরা লঠিসোটা হাতে মিছিল নিয়ে ওই গ্রামে হামলা চালায়। হামলার আগেই বাড়ি ছেড়ে হাওরে আশ্রয় নেন নোয়াগ্রামের বাসিন্দারা। সে কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শাল্লায় যাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে- শৈলেন্দ্র দাস, অনিল দাস, দিগেন দাস, হরিপদ দাস, রবিন্দ্র দাস , রন্টু দাস, অসীম চক্রবর্তী, দেবেন্দ্র কুমার দাস, নগেন্দ্র কুমার দাস, মানকি দাস সহ অন্তত ২০ বাড়িতে হামলা হয়।
ভুক্তভোগী শৈলেন্দ্র দাস জানান, যে ছেলেটি ফেসবুকে লিখেছে তাকে তারা গতকাল ধরে পুলিশে দিয়েছেন। তাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছিলো আর কিছু হবে না। কিন্তু সকালেই লাঠিসোঠা নিয়ে কয়েকশ’ মানুষ পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সামনেই হামলা চালায়। গ্রামের নারীসহ পুরুষরা শিশুদের নিয়ে হাওরের দিকে ছুটতে থাকে। পরে বাড়ি ফিরে এসে দেখে ঘরের আসবাব ভাংচুর করে লুটপাট চালানো হয়েছে। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন তার ঘরে থাকা স্বর্ণ ও টাকাও লুটে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।শাল্লা থানার ওসি নাজমুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, যে ছেলেটি ফেসবুকে আল্লামা মামুনুল হককে নিয়ে কটূক্তি করেছিল, তাকে ধরে গতরাতেই গ্রামের লোকজন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সকালে হঠাৎ শতাধিক লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে নোয়াগ্রামের দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশও তাদের পিছু নেয়। কিন্তু কিছু লোক আগেই নদী পার হয়ে নোয়াগ্রামে হামলা চালায়। এ সময় ঝুমন দাসের বাড়িসহ প্রায় ২০ বাড়িঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে বলে জানান ওসি।
এর আগে সোমবার শাল্লার পার্শ্ববর্তী উপজেলা দিরাইয়ে হেফাজতের একটি সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক।
বি এন-০৪