ধর্মপাশায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিক্ষোভ মিছিল

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


মার্চ ২১, ২০২১
১২:৩৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২১, ২০২১
১২:৩৮ পূর্বাহ্ন



ধর্মপাশায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিক্ষোভ মিছিল

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আজ শনিবার (২০মার্চ) বেলা পৌনে ১টার দিকে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপি ও জামায়াত পরিবারের লোকজনদেরকে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধর্মপাশা উপজেলায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধর্মপাশা উপজেলা কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটিগুলোকে পাশ কাটিয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। 

শনিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা সদর বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে উপজেলা সদরের ত্রিমুখী মোড়ে বঙ্গবন্ধু চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এনামুল হক এনাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেনজীর আহমেদ উজ্জ্বল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ধর্মপাশা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৭ মার্চ। সম্মেলন উপলক্ষে গত ২ মার্চ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট ধর্মপাশা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি। কিন্তু সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির ৩১ সদস্যের মধ্যে ৬ জন সদস্য রয়েছেন যারা বিএনপি-জামায়াত পরিবারের লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। সংগঠনটির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কোনোরকম মতামত না  নিয়ে তড়িঘড়ি করে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধর্মপাশা উপজেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক এনাম বলেন, এ উপজেলায় ৫১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যকরী কমিটি রয়েছে। এখানকার ছয়টি ইউনিয়নে ছয়টি আহ্বায়ক কমিটি রয়েছে। আমাদের কমিটিকে বিলুপ্ত করা হয়নি বা এ সংক্রান্ত কোনো চিঠিও আমরা পাইনি। কারও এজেন্ডাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে উপজেলা কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটি থাকা স্বত্ত্বেও দলীয় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশ কাটিয়ে একটি পকেট কমিটি করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কোনো অবস্থাতেই এটি মেনে নেবে না।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো. শোয়েব চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যদের ব্যাপারে কারও কোনো আপত্তি থাকলে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে সেটি আমরা খতিয়ে দেখব। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করেছি। উপজেলা কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটি পাশ কাটানোর কথাটি সত্য নয়। এ উপজেলায় শুরু থেকেই সংগঠনটির কোনো ইউনিয়ন কমিটি নেই। উপজেলা কমিটি যেটি ছিল সেটি ১ বছর আগে প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এখন অস্বীকার করলে আমাদের কিছুই করার নেই। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। স্থানীয় বিরোধের দায়ভার তো আর আমরা নিতে পারি না। সম্মেলনের মাধ্যমে এ উপজেলায় সংগঠনটির যোগ্য নেতৃত্ব বের করে সংগঠনটিকে গতিশীল করার জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

এসএ/আরআর-০৪