মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী, দোয়ারাবাজার
এপ্রিল ০৮, ২০২১
০৯:৫৭ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৮, ২০২১
০৯:৫৭ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পূর্বেই ব্রি (৮১ হাইব্রিড) ধান কাটতে পেরে কৃষকদের মাঝে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় গত সপ্তাহ থেকে ব্রি ধানের পাশাপাশি ২৮ হাইব্রিড ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে হাওর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাত্র আড়াই মাসেই বাম্পার ফলন হয়েছে ব্রি ধানের। এ বছরের সেরা চমক হচ্ছে ব্রি ধান। ইতোমধ্যে এই ধান গোলায় তুলতে পেরে খুশি গ্রামের কৃষকরা। অন্যদিকে, প্রতিটি হাওরে ২৮ ধান কেটে মাড়াই শেষে সোনার ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন কৃষকরা।
গতবছরের মতো এবারও উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন প্রত্যন্ত এলাকার চাষিরা। তারা জানিয়েছেন, ২৮ জাতের রোপণকৃত বেশিরভাগ জমির ধানই পাকতে শুরু করেছে। ধান ঘরে তুলতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন কৃষক-কৃষাণিরা।
উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের কৃষক আবদুস ছাত্তার বলেন, 'চলতি বোরো মৌসুমে কানলার হাওর ও ফুটকিউড়া হাওরে ব্রি ধান রোপণের মাত্র আড়াই মাসে ফলন হয়েছে। ভালো ফলন হলেও অনাবৃষ্টি ও বাবুই পাখির উৎপীড়নে পাকা ধানের কিছু ক্ষতি হয়েছে। এ বছর হাওরে সাড়ে ৩ একর জমিতে বোরো ফসল চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে।'
একই গ্রামের কৃষক সিরাজ মিয়া বলেন, '৮১ জাতের হাইব্রিড ধান কেটে নিরাপদে গোলায় তুলেছি। ইতোমধ্যে আগাম জাতের ২৮ ধান কাটা শুরু হয়েছে। অন্যান্য জাতের ধানও বেরিয়েছে। পাহাড়ি ঢলে ক্ষতি না করলে এ বছর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।'
মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের কৃষক জমিরউদ্দিন ও জাহির আলী জানান, দেখার হাওর ও কনছখাই হাওরে এবার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে।
ডুলপশি গ্রামের কৃষক আছদ্দর আলী বলেন, 'দেখার হাওরে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। চৈত্রের খড়ায় কিছুটা ক্ষতি হলেও সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের বেশ উপকার হয়েছে।'
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মহসিন বলেন, 'চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে এবার ১৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্রি ধান ও ২৮ হাইব্রিড ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছি।'
এইচএইচ/আরআর-০৭
