দ. সুনামগঞ্জে রাসিক হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি দাবি

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


এপ্রিল ১২, ২০২১
০৯:৫৩ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১২, ২০২১
০৯:৫৩ অপরাহ্ন



দ. সুনামগঞ্জে রাসিক হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি দাবি

সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের দামোধরতপী গ্রামে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে সৎ দুলাভাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্যালক খুনের ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় দামোধরতপী পয়েন্ট এলাকায় নিহত রাসিক মিয়ার পরিবার ও এলাকাবাসীর আয়োজনে শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, নিহত রাসিক মিয়ার ছোট ভাই আশির মিয়া, মা আনোয়ারা বেগম, স্ত্রী রওশন আরা, নিহতের চাচা ফারুক মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমুজ আলী প্রমুখ।

বক্তব্যে তারা বলেন, রাসিক মিয়ার খুনি নাইজুল হক, তার স্ত্রী ছামিনা বেগম, শাশুড়ি নুরুন নেছা ও শ্যালিকা রিনা বেগমসহ এই খুনের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।

এ সময় ইউপি সদস্য আজির উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য আরজক আলী, মউজুল মিয়া, আছকির আলী, রহমত আলী ও রফিক আলীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দামোধরতপী গ্রামের মৃত সফিক মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী ও তৃতীয় স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে সম্পত্তির ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা চলছিল। গত সোমবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে রাসিক মিয়া ও তৃতীয় স্ত্রীর মেয়ে ছামিনা বেগমের মধ্যে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ছামিনা বেগমের স্বামী নাইজুল হক ধারালো ছুরি দিয়ে শ্যালক রাসিক মিয়ার পেটে আঘাত করেন। এ সময় রাসিক মিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসিক মিয়া মারা যান।

খবর পেয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সৎ দুলাভাই নাইজুল হক, তার শাশুড়ি নুরুল নেছা, স্ত্রী ছামিনা বেগম ও শ্যালিকা রিনা বেগমকে আটক করে। পরে এ ঘটনায় রাসিক মিয়ার ছোট ভাই নাছির মিয়া বাদী হয়ে আটককৃত ৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

 

এসটি/আরআর-০৬