জগন্নাথপুরে যুবক খুন, গ্রেপ্তার ২

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি


এপ্রিল ১৮, ২০২১
০১:২৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৮, ২০২১
০১:২৫ পূর্বাহ্ন



জগন্নাথপুরে যুবক খুন, গ্রেপ্তার ২

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকায় পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় মাসুম আহমদ (২৫) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জ জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৮টার দিকে তার অবস্থা বেশি খারাপ হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর পৌরসভার ভবানীপুরের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মাসুম আহমদের সঙ্গে প্রতিবেশী সুরুজ মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি বিরোধপূর্ণ রাস্তায় একটি বাঁশ হেলে পড়ে। শুক্রবার হেলে পড়া বাঁশ সুরুজ মিয়ার পক্ষের লোকজন জোরপূর্বক কেটে ফেলতে চাইলে এতে বাধা দেন মাসুম আহমদ। এ সময় সুরুজ মিয়ার ছেলে লিয়ন আহমদ ও রুবেল মিয়া গংরা মাসুমের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় মাসুম আহমদ আহত হলে প্রথমে তাকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে যাওয়ার পথে মাসুম আহমদ মারা যাযন। এ ঘটনায় পুলিশ সুরুজ মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৪) ও মৃত ইছাক মিয়ার ছেলে গয়াস মিয়াকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত যুবকের মামা সৌরভ মিয়া বলেন, 'রাস্তা নিয়ে অনেকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি আমার ভাগ্নে মাসুম মিয়ার পক্ষে মাননীয় আদালত রায় দেন। ঘটনার দিন রাস্তা থেকে জোরপূর্বক প্রতিপক্ষের লোকজন বাঁশ কেটে ফেলতে চাইলে মাসুম বাধা দেয়। স্থানীয় কাউন্সিলর ও পঞ্চায়েতের ব্যক্তিদের সামনে আমার ভাগ্নেকে মারধর করে জখম করা হয়। পরে আহতাবস্থায় সে মারা যায়।'

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম বলেন, 'যুবকের মৃত্যুর ঘটনাটি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। দুইপক্ষের মধ্যে যাতায়াতের সড়ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্তলে গিয়ে উভয়পক্ষকে নিবৃত্ত করি।'

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হামলায় যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।'

 

এএ/আরআর-০৪