প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষকের মৃত্যু

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


এপ্রিল ২০, ২০২১
০১:৪৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২১
০১:৪৬ পূর্বাহ্ন



প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষকের মৃত্যু

পূর্ববিরোধ ও বোরো জমির ধান কাটতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের ঢালার খাল নামক স্থানে সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজনের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষিতে আবদুর রহিম (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

ধর্মপাশা থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের মহিষপুর গ্রামের শাহীন মিয়ার (৩৮) সঙ্গে একই ইউনিয়নের মফিজনগর গ্রামের আবদুর রহিমের (৫৫) দীর্ঘদিন ধরে জমির সীমানা নির্ধারণসহ পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এসব নিয়ে আদালতে মামলা-মোকদ্দমাও চলমান রয়েছে। ৫/৬ মাস আগে শাহীন মিয়ার মায়ের কাছ থেকে ১ বছর মেয়াদে সোনামড়ল হাওরে ১০ কিয়ার জমি ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে চাষের জন্য নেন আবদুর রহিম (৫৫) ও তার ছোট ভাই আবদুল করিম (৫০)।

সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শাহীন মিয়া (৩৮) ও তার ছোট ভাই আনোয়ার মিয়া (৩৩) ওই ১০কিয়ার জমিতে ৩০-৩৫ জন শ্রমিক নিয়ে ধান কাটতে শুরু করেন। খবর পেয়ে আবদুর রহিম সোমবার সকাল ১০টার দিকে সোনামড়ল হাওরে গিয়ে তাদের আবাদ করা জমির ধান কাটতে বাধা দেন। এ  সময় শাহীন মিয়া ও আবদুর রহিমের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সোনামড়ল হাওর সংলগ্ন ঢালার খালে শাহীন মিয়া ও তার ছোট ভাই আনোয়ার মিয়াসহ ৫/৬ জন মিলে কৃষক আবদুর রহিমকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান।। খবর পেয়ে আবদুর রহিমের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শাহীন মিয়া ও আনোয়ার মিয়ার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, 'বোরো জমিতে ধান কাটতে বাধা দেওয়াসহ পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজনের কিল-ঘুষির আঘাতে কৃষক আবদুর রহিমের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কৃষকের  লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এসএ/আরআর-০৯