মাচার নিচে পড়েছিল গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ

তাহিরপুর প্রতিনিধি


এপ্রিল ২১, ২০২১
০৫:১১ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২১, ২০২১
০৫:১১ অপরাহ্ন



মাচার নিচে পড়েছিল গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আজমিনা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২১ এপ্রিল) ভোরে বসতঘরের অদূরে রাখা লাকড়ি-খড়কুটোর মাচার নিচে পড়ে থাকা অবস্থায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

মৃত আজমিনা বেগম উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের জৈতাপুর গ্রামের শাহনুর মিয়ার (২৮) স্ত্রী। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এএসপি তাহিরপুর সার্কেল বাবুল আখতার, ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার, বাদাঘাট ক্যাম্প ইনচার্জ রাজিবুল হাসান।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মৃত গৃহবধূর স্বামী শাহনুর মিয়া সপ্তাহ খানেক ধরে জামালগঞ্জ উপজেলার একটি হাওরে ধান কাটার কাজে ছিলেন। সেই সুবাধে ওই গৃহবধূ তার ৫ বছরের ছেলে ও ২বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন।

ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাতে আনুমানিক ২টার দিকে মৃত গৃহবধূর ছেলে-মেয়ের কান্নাকাটি শুনে পাশের ঘর থেকে শ্বশুর ও অন্যরা এসে দেখতে পান ওই গৃহবধূ ঘরে নেই। 

পরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন রাতে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করেও গৃহবধূর সন্ধান না পেয়ে ঘরে ফিরে আসে। 

ভোরে পুনরায় গৃহবধূর সন্ধানে বের হলে বসতঘরের অদূরে লাকড়ি খড়কুটো রাখার মাচার নিচে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

পরে বাড়ির লোকজন থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

গৃহবধূর স্বামী শাহনুর মিয়া বলেন, ‘আমি গত ৭-৮ দিন ধরে ধান কাটার কাজে জামালগঞ্জের সাচনাতে ছিলাম। কে বা কারা আমার স্ত্রীকে এমন করে মেরে লাশ বাইরে ফেলে রাখলো, তা বুঝতেছিনা।’

তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার এ প্রতিবেদককে জানান, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মাথায়, গালে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ ওই গৃহবধূ মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

এ এইচ/বি এন-০৩