ধর্মপাশায় ভাইস চেয়ারম্যানের 'নির্দেশে' সাংবাদিককে হাতুড়িপেটা

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


এপ্রিল ২৫, ২০২১
১১:১৬ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৫, ২০২১
১১:১৬ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় ভাইস চেয়ারম্যানের 'নির্দেশে' সাংবাদিককে হাতুড়িপেটা

'ভোরের দর্পণ' পত্রিকার সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেনকে (২৯) হাতুড়িপেটা ও কিল-ঘুষি মেরে আহত করা হয়েছে। রোববার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আতকাপাড়া খেয়াঘাট এলাকায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের নির্দেশে তার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আহত ওই সাংবাদিক ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বাদী হয়ে রোববার বিকেলে চারজনকে আসামি করে ধর্মপাশা থানার ওসির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত আহত সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'আমাদের আতকাপাড়া গ্রামে হযরত মজনু শাহ নূরী ওরফে ন্যাংটা বাবার মাজারে বাৎসরিক ওরস অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গত ২৪ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাণিজ্যমেলার নামে জুয়া ও অন্যান্য অসামাজিক কার্যক্রমের  প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন ও তার ভাই সুরে আলম। সারা দেশে করোনাভাইরাসের প্রভাবে জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবার ওই মাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে ওরস অনুষ্ঠিত হয়নি। এ অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আমার ওপর দোষ দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে ভাইস চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আমাকে মারধর করবে বলে রাস্তাঘাটে হুমকি দিয়ে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করার জন্য গতকাল শনিবার (২৪ এপ্রিল) থানায় লিখিত অভিযোগ করি। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের নির্দেশে তার লোকজন আমাকে হাতুড়িপেটা ও কিল-ঘুষি মেরে আহত করেছে।'

সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেনের বাবা আবদুল বারেক (৬৫) বলেন, 'আমার ছেলেকে এভাবে হাতুড়িপেটা ও কিল-ঘুষি মেরে আহত করার ঘটনার সুবিচার চাই। এ নিয়ে আজ (রোববার) বিকেলে থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।'

অভিযুক্ত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বলেন, 'সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন আমার ফুপাতো ভাই। তার নানাবিধ কার্যক্রমে ও ব্যবহারে  এলাকার মানুষজন তার প্রতি চরম অসন্তুষ্ট। তার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। বেশ কিছুদিন ধরে সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। হাতুড়িপেটার কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুনেছি আমার ছোট ভাই সুরে আলমের সঙ্গে ওর কিল-ঘুষির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আমি দুজনকে নিয়ে বসে মিটমাট করে দেব।'

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, 'এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

এসএ/আরআর-০৩