জামালগঞ্জে দুই কিশোরীকে 'ধর্ষণ'

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি


এপ্রিল ২৮, ২০২১
১২:১৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৮, ২০২১
১২:১৭ পূর্বাহ্ন



জামালগঞ্জে দুই কিশোরীকে 'ধর্ষণ'

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে দুই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা জানিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) জামালগঞ্জ থানায় এ অভিযোগটি দায়ের করেন জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চাঁনপুর কান্দাহাঁটি গ্রামের এক ব্যক্তি (৩৫)। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে চাঁনপুর আবুরহাঁটি গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৫) ও হরমুজ আলীর ছেলে আবুল কালামকে (২৬)। গতকাল সোমবার রাতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ওই দুই কিশোরীর একজন অভিযোগকারীর মেয়ে ও আরেকজন একই গ্রামের শেখহাঁটির বাসিন্দা এক ব্যক্তির পালিত মেয়ে। তারা এখন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে অভিযোগসূত্রে জানা গেছে।

অভিযোগে জানা যায়, দুই কিশোরী রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। করোনাকালীন লকডাউনের জন্য পরিবারের সঙ্গে তারা বাড়িতে আসে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পোশাক কারখানা খোলার খবরে তারা দু'জন ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। বাড়ি থেকে তারা চাঁনপুর হারুন মার্কেটের সামনে এসে অভিযুক্ত আবুল কালামের টমটমে ওঠে। এ সময় কালাম তার বন্ধু আলমগীরকেও গাড়িতে ওঠায়। একপর্যায়ে ভিকটিমদ্বয় জামালগঞ্জ ফেরিঘাটে এসে টমটম থেকে নামতে চাইলে টমটমচালক ঢাকার গাড়ি চলে না বলে তাদেরকে জানায়। তখন তারা বাড়ি ফেরার জন্য ওই গাড়িতে উঠে বসে এবং অভিযুক্ত আলমগীর তাদের হাতে জুসের বোতল ধরিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক তা পান করতে বাধ্য করে। জুস পান করে ভিকটিম দু’জনেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় আলমগীর ও কালাম তাদেরকে চাঁনপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী কান্দার ক্ষীরাক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

রাত ১১টার দিকে একই গ্রামের তোফাজ্জুল হোসেন ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিমদেরকে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখে তাদের স্বজনকে খবর দিলে অভিযোগকারী স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাদেরকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ভিকটিমদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল আলম জানান, মামলাটি প্রক্রিয়াধীন আছে। অভিযুক্তদের ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

 

বিআর/আরআর-১০