ধর্মপাশা প্রতিনিধি
মে ০৬, ২০২১
১১:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ০৬, ২০২১
১১:৩২ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ধর্মপাশা গ্রামের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে পরিদর্শক পদে কর্মরত বিকাশ রঞ্জন সরকারকে (৫৫) আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের পাইকুরাটি গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু দে পলাশ (৩২) বাদী হয়ে চার শতক ভূমি বিক্রয় করার জন্য ৩ লাখ টাকা বায়না নিয়ে বিকাশ জমি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়া ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে গতকাল বুধবার (৫ মে) রাতে ধর্মপাশা থানায় এই মামলাটি দায়ের করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বাদী হয়ে তাকে মারধর, অবরুদ্ধ করে রাখা ও প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ এনে সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন মাসুদ (৫৮) ও সাংসদের ভাতিজা তানভীর হোসেন সাগরকে (২৪) আসামি করে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা করেন।
পিন্টু দে পলাশ থানায় করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের পাইকুরাটি নতুন বাজারে বিকাশ রঞ্জন সরকারের মালিকানাধীন ভূমি থেকে চার শতক জায়গা ১০ লাখ টাকা মূল্যে ক্রয়ের জন্য প্রায় চার মাস আগে পাইকুরাটি ইউনিয়নের পাইকুরাটি গ্রামের পিন্টু দে পলাশ পাইকুরাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান, পাইকুরাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফাসহ আরও কয়েকজনের সামনে বিকাশ রঞ্জন সরকারকে ৩ লাখ বায়না (অগ্রিম) দেন। বাকি সাত লাখ টাকা বুঝে নিয়ে একমাস পর দলিল রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিকাশ নানা অজুহাতে সময় অতিবাহিত করে আসছিলেন।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের পাইকুরাটি নতুন বাজারে গত ২ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিকাশ রঞ্জন সরকারকে পেয়ে পিন্টু চার শতক ভূমি দলিল রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে বিকাশ উত্তেজিত হয়ে পিন্টুকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে বিকাশ রঞ্জন সরকার বলেন, 'পিন্টু দে পলাশ খুবই দরিদ্র। ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালিয়ে পিন্টু কোনোরকমে জীবিকা নির্বাহ
করেন। তিন লাখ টাকা বায়না দেওয়ার সামর্থ তার নেই। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি বাদী হয়ে সাংসদ রতনের বড় ভাই ও ভাতিজাকে আসামি করে থানায় যে মামলাটি করেছি, সেটির কাউন্টার হিসেবে সাংসদের ঘনিষ্ঠজনদের সাক্ষী রেখে আমাকে বিপাকে ফেলার জন্য পরিকল্পিতভাবে আষাঢ়ে গল্প সাজিয়ে সাংসদের অনুসারী বাদী হয়ে এই মিথ্যা মামলাটি করেছেন।'
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরী বলেন, 'এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।'
এসএ/আরআর-০৪