সিলেট মিরর ডেস্ক

মে ০৮, ২০২১
০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন

আপডেট : মে ০৮, ২০২১
০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন এবং কোয়ালিশন বাহিনীর সেনা যেন নিরাপদে প্রত্যাহার করা হয়, এ জন্য সেখানে বাড়তি সামরিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বোমারু ও জঙ্গিবিমান পাঠিয়েছে।

সেনাদের পাশাপাশি বেসামরিক ঠিকাদারদের সুরক্ষায় ভারী বোমারু বিমানও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি টেনে সেখান থেকে বাদবাকি সব সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোট। খবর বিবিসির

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ১১ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন একত ঘোষণায়। কিন্ত সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই আফগানিস্তানে সহিংসতা বেড়েছে।

প্রতিশোধ হামলা হওয়ার আশঙ্কায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনী উচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। এদিকে তালেবান গোষ্ঠী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ রাখতে এখন আর চুক্তিবদ্ধ নয়।

গত বছর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে তালেবানের চুক্তি অনুযায়ী, এ বছরের ১ মে মাসের মধ্যে মার্কিন বাহিনীর আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। ওই সময় পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ রেখেছে তালেবান। এখন আবার আফগানিস্তানে দফায় দফায় তালেবান হামলা হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি জানিয়েছেন, আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে থাকা আড়াই হাজার সেনা সদস্য এবং ১৬ হাজার বেসামরিক ঠিকাদারকে রক্ষায় সেখানে ছয়টি দীর্ঘ পাল্লার বি-৫২ বোমারু বিমান এবং ১২টি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে।

মিলি জানান, তালেবান জঙ্গিরা আফগান সরকারকে হামলার নিশানা করে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১২০টি হামলা চালাচ্ছে। অথচ গত ১ মে থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর মার্কিন এবং কোয়ালিশন বাহিনীর ওপর কোনো হামলা হয়নি।

আরসি-০১