রোহিঙ্গাদের খেলাধুলায় আগ্রহী করে তুলবে পিএসজি

খেলা ডেস্ক


মে ২৮, ২০২১
০৩:১৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ২৮, ২০২১
০৩:১৬ পূর্বাহ্ন



রোহিঙ্গাদের খেলাধুলায় আগ্রহী করে তুলবে পিএসজি


খেলাধুলার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মানবিক চেতনা পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে পিএসজি। ‘অবহেলিত শিশুদের’ খেলাধুলায় আগ্রহী করে তুলতে রোহিঙ্গা শিবিরে ক্লাব প্রতিষ্ঠা করবে দলটি। পিএসজির দাতব্য শাখা প্যারিস সেন্ট জার্মেইন এনডাওমেন্ট ফান্ড এবং শরণার্থীদের খেলাধুলা নিয়ে কাজ করা ডাচ সামাজিক সংস্থা ক্লাবু’র যৌথ উদ্যোগে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিষয়টি টুইটারে জানিয়েছে পিএসজি।

বিশ্বব্যাপী নানা সংকটে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে কোটি কোটি মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে শরণার্থী শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্বের মানুষদের এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ক্লাবু এবং পিএসজি। এ উদ্দেশে প্রথমবারের মতো তৈরি করা হচ্ছে স্পোর্টস ক্লাব। প্রসঙ্গত, ক্লাবু হচ্ছে শরণার্থী স্পোর্টস ক্লাব। তাদের মূল লক্ষ্য খেলাধুলার মাধ্যমে মানবিক চেতনা পুনরুজ্জীবিত করা।

প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার শরণার্থীকে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সহযোগিতা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। বিশ্বজুড়ে সচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হবে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘উদ্দীপনায় পরিচয়’।

পিএসজির সভাপতি নাসের আল খেলাইফি বলেন, প্রতিটি শিশুরই খেলাধুলার অধিকার আছে। ক্লাবুকে অনেক আগে থেকেই সহযোগিতা করছি, এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সেটা আরও ছড়িয়ে দিতে চাইছি। এমন একটি কাজে সহযোগিতা করতে পেরে পিএসজি গর্বিত।

তিনি আরও বলেন, ক্লাবু, ইউএনএইচসিআর এবং অন্য অংশীদাররা মিলে ভুক্তভোগীর কিছু অংশের মধ্যে আশা জাগাতে সক্ষম হয়েছি বলে মনে করি। আশা করছি, সময়মতোই এই প্রকল্প শরণার্থী শিশুদের মাঝে স্বস্তি বয়ে আনবে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন পীড়নে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় শিবিরে জীবন কাটাচ্ছে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তাই রোহিঙ্গা শিশুদের স্বাভাবিক জীবনের স্বাদ দেওয়ার উদ্দেশে ক্লাবু, পিএসজি এনডাওমেন্ট ফান্ড নতুন উদ্ভাবিত ভ্রাম্যমাণ খেলাধুলা লাইব্রেরি সরবরাহ করবে।

শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে খেলাধুলার আগ্রহ ছড়িয়ে দিতে এই লাইব্রেরি যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ক্লাবুর আশা। ক্লাব, পিএসজি এনডাওমেন্ট ফান্ডের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ক্লাবু ও মানবাধিকার সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ।

এএন/০৪