কানাইঘাটে প্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যা

কানাইঘাট প্রতিনিধি


জুন ১৪, ২০২১
০৭:১৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ১৪, ২০২১
০৭:১৮ অপরাহ্ন



কানাইঘাটে প্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যা

সিলেটের কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের সোনাতনপুঞ্জি গ্রামে রুহুল আমিন (২৫) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৪ জুন) দুপুরের দিকে একটি উঁচু টিলার উপর থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘাড় কাটা অবস্থায় সোনাতন পুঞ্জি গ্রামের মৃত মকবুল আলীর পুত্র রুহুল আমিনের লাশ উদ্ধার করে কানাইঘাট থানার পুলিশ।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সোনাতন পুঞ্জি গ্রামের মৃত ইছরাক আলীর পুত্র সামছুল হকের (৪৮) সঙ্গে একই গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদের পুত্র আব্দুল মান্নান গংদের টিলাবেষ্ঠিত সরকারি খাস খতিয়ানে অবস্থিত বেশ কয়েক একর ফসলি জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে  থানায় ও আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল রবিবার (১৩ জুন) রাতে প্রতিবন্ধী যুবক রুহুল আমিন তার চাচা সামছুল হকের বাড়িতে গিয়েছিলেন। আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে সামছুল হক এলাকায় চাউর করেন তার ছেলে ফখরুল আহমদকে সঙ্গে নিয়ে রুহুল আমিন বাড়ির পাশের উঁচু একটি টিলায় কাঁঠাল পাড়তে যান। এ সময় ওই টিলার উপরে বসবাসরত নজরুল ইসলামসহ তার পরিবারের লোকজন তার ছেলে ফখরুল ও রুহুল আমিনের ওপর হামলা চালায়। প্রাণ রক্ষার্থে তার ছেলে ফখরুল ইসলাম টিলার নিচে নেমে আসে। এরপর থেকে তার ভাতিজা রুহুল আমিনকে খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন খোঁজাখুঁজি করে শারিরীক প্রতিবন্ধী রুহুল আমিনের ঘাড় কাটা রক্তাক্ত লাশ টিলার একপাশে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তাৎক্ষণিক থানার এসআই রঞ্জিত দাস একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।

নিহতের অসুস্থ বৃদ্ধা মাসহ বোনেরা জানিয়েছেন, রহুল আমিন একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী। তার এক পা খাটো ও বিকলাঙ্গ। তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থাকেন। গতকাল রবিবার রাতে তিনি চাচা সামছুল হকের বাড়িতে যান এবং ওইদিন বাড়িতে ফিরেননি। পরদিন তার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।

যেখান থেকে রুহুলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা চাচা সামছুল হকের বাড়ির পাশের উঁচু একটি টিলা। বিশাল এ টিলার দখল নিয়ে সামছুল হকের সঙ্গে আব্দুল মান্নানের পরিবারের সদস্যদের বিরোধ রয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে সামছুল হক বা যে টিলার উপর থেকে রুহুলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে বসবাসরত নজরুল ইসলামকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

কানাইঘাট থানার এসআই রঞ্জিত দাস জানিয়েছেন, নিহতের লাশ তারা উদ্ধার করেছেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন। কারা রুহুল আমিনকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।


এমআর/আরআর-০৩