ভারতে ৭৫ দিনে সর্বনিম্ন আক্রান্ত ও মৃত্যু

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ১৫, ২০২১
০২:২৯ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ১৫, ২০২১
০২:২৯ অপরাহ্ন



ভারতে ৭৫ দিনে সর্বনিম্ন আক্রান্ত ও মৃত্যু

৭৫ দিনের মধ্যে করোনায় সর্বনিম্ন আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে ভারতে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, সোমবার ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৪৭১ জন এবং এ রোগে এদিন ভারতে মারা গেছেন ২ হাজার ৭২৬ জন।

এই দিন ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৫২৫ জন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই নিয়ে টানা অষ্টম দিনের মতো করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখের নিচে রয়েছে দেশটিতে।

ভারতে একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড ৪ লাখ ১৪ হাজার। গত ৭ মে এই সংখ্যা ছুঁয়েছিল দেশটি।

অন্যদিকে, সোমবার ভারতে যে পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, তা গত মার্চের ৩১ তারিখের পর সর্বনিম্ন।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বিপর্যস্ত রাজ্যগুলোতে সম্প্রতি পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ায় দিল্লি, হরিয়ানাসহ অনেক রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে।

সোমবার ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে।

এদিন মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ১২৯ জন। তবে এই সংখ্যাটিও গত তিন মাসে ভারতের সবচেয়ে ধনী ও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বিপর্যস্ত এই রাজ্যটিতে সর্বনিম্নসংখ্যক দৈনিক সংক্রমণ।

কয়েকটি রাজ্যে অবশ্য এখনও সংক্রমণ-মৃত্যুর পরিসংখ্যানে উন্নতি কম দেখা যাচ্ছে । এগুলো হলো পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড ও কর্নাটক।

পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরাখণ্ডে লকডাউন চললেও বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে সম্প্রতি। কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত দেশজুড়ে ২৫ কোটি ডোজ টিকা ব্যবহার করা হয়েছে।

পাশাপাশি, ২০২১ সাল শেষ হওয়ার আগেই দেশের ১০৮ কোটিরও বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার নতুন লক্ষ্য নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার- তাও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, গত আট দিন ধরে ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে আছে। সোমবার এই হার ছিল ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

বি এন-০১