ইসলামের অবমাননা ঠেকাতে কঠোর শরিয়া আইন

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ২৪, ২০২১
১০:১৯ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২৪, ২০২১
১০:১৯ অপরাহ্ন



ইসলামের অবমাননা ঠেকাতে কঠোর শরিয়া আইন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‌‘নারী-পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামীদের (এলজিবিটি) জীবনাচারের প্রসার এবং ইসলাম ধর্মের অবমাননাকারীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসলামি শরিয়া আইনে সংশোধনের প্রস্তাব করেছে মালয়েশিয়ার সরকারি একটি টাস্কফোর্স।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়ার ইসলামি আইনে পুরুষ সমকামিতা অথবা সমলিঙ্গের কার্যক্রম অবৈধ। তবে এসব অভিযোগে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনা বিরল।

এক বিবৃতিতে দেশটির ধর্মীয় কল্যাণবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত উপমন্ত্রী আহমদ মারজুক শারি বলেছেন, চলতি মাসে নারী-পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামীদের প্রাইড মান্থ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদযাপনের বিভিন্ন পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় শরিয়া ফৌজদারি আইনে সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছে।

তিনি বলেছেন, আমরা দেখেছি নির্দিষ্ট কিছু পক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস এবং ছবি আপলোড করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এলজিবিটিদের জীবনাচারের প্রসারের চেষ্টা হিসেবে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে।

৩ কোটি ২০ লাখ মানুষের দেশ মালয়েশিয়ায় জাতিগত মালয় মুসলিমের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি। দেশটিতে দ্বৈত আইনি ব্যবস্থা রয়েছে। মুসলিমদের জন্য নাগরিক আইনের পাশাপাশি ইসলামিক ফৌজদারি ও পারিবারিক আইন চালু আছে।

আহমদ মারজুক শারি বলেছেন, প্রস্তাবিত আইনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কেউ ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং অন্যান্য শরিয়া ফৌজদারি অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ব্যবস্থা নিতে পারবে।

ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং এলজিবিটির প্রসার ঠেকাতে সরকারের গঠিত টাস্কফোর্সে দেশটির ইসলামি উন্নয়ন বিভগ, যোগাযোগ ও মাল্টিমিডিয়া মন্ত্রণালয়, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এবং পুলিশের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, গত কয়েক বছরে মালয়েশিয়ায় এলজিবিটি সম্প্রদায়ের প্রতি ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে শরিয়া আইনে সংশোধনী আনার এই প্রস্তাব উঠেছে।

এর আগে, ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পদযাত্রায় এলজিবিটি কর্মীদের অংশগ্রহণের পর দেশটির একজন মন্ত্রী এবং অন্যান্য মুসলিম সংগঠনগুলোর সদস্যরা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেন। ওই বছর সমকামিতার চেষ্টার দায়ে দেশটিতে পাঁচজনকে জরিমানা, কারাদণ্ড, বেত্রাঘাতের সাজা দেওয়া হয়।

বিএ-১০