ইংল্যান্ডের জয়ে লেজার লাইট কেলেঙ্কারি

খেলা ডেস্ক


জুলাই ০৯, ২০২১
১২:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৯, ২০২১
১২:৪৫ অপরাহ্ন



ইংল্যান্ডের জয়ে লেজার লাইট কেলেঙ্কারি
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২০


ইংল্যালেন্ডকে জেতাতে লেজার লাইট কেলেঙ্কারির কাণ্ড ঘটায় ইংলিশ দর্শকরা। সেমিফাইনালে হ্যারি কেইন স্পট কিক নেওয়ার আগমুহূর্তে ডেনমার্কের গোলরক্ষক কেসপার স্মাইকেলের মুখে লেজার লাইট মারার ঘটনাসহ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি ‘ডিসিপ্লিনারি চার্জ’ এনেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। বাকি দুটি অভিযোগ হলো, ডেনমার্কের জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় দুয়ো দিয়েছেন কিছু ইংলিশ সমর্থক। পরে তারা পুড়িয়েছেন আতশবাজিও।

লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ের পর প্রথমবারের মতো ফুটবলের বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠে দলটি। দুই দলের মাঠের লড়াইয়ের শুরুতে ছিল দারুণ সম্প্রীতির উদাহরণ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়া ডেনিশ ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন এ ম্যাচেও ছিলেন ভিন্নভাবে। প্রাণে বেঁচে যাওয়া এরিকসেনের নামাঙ্কিত জার্সি প্রতিপক্ষ অধিনায়ন সিমন কেয়ারের হাতে তুলে দেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। কিন্তু ইংলিশ সমর্থকদের আচরণ শুরু থেকেই ছিল চড়া।

ডেনমার্কের জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় দুয়ো দিতে থাকে তারা। ইউরোর চলতি আসরে প্রতিপক্ষ দলের জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় এমন অপ্রীতিকর ঘটনা এই প্রথম ঘটলো।

এরপর ১০৪তম মিনিটে কেইনের পেনাল্টি নেওয়ার সময় ঘটে লেজার লাইট মারার কাণ্ড। ভিডিওতে দেখা যায় স্মাইকেলের মুখে, চোখে ও কপালের উপর ঘুরছে সবুজ আলোর রেখা।

পেনাল্টি শট মারার সময় ডেনমার্কের গোলকিপারের চোখে লেজার রশ্মি দিয়ে তাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করা হয়েছে। সেই মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে।

পেনাল্টি স্মাইকেল রুখে দিলেও কেইন ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন। এ গোলেই শেষ পর্যন্ত ডেনিশদের পথচলা থেমে যায়। জয়ের আনন্দে পরে আতশবাজিও পুড়িয়েছে ইংলিশ সমর্থরা। গোলরক্ষককে লেজার লাইট না মারলে ম্যাচের ফলাফর বদলে যতে। ফাইনালে উঠত ডেনমার্ক।

উয়েফার এথিকস ও ডিসিপ্লিনারি বডি এই তিনটি বিষয় খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে। বিষয়গুলো প্রয়োজনে তদন্ত করে দেখার কথা জানিয়েছেন পুলিশের এক মুখপাত্রও। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একজন শেরিফের দিকে লেজার লাইট মারার কারণে এক ব্যক্তি ‘সেকেন্ড ডিগ্রি’ অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তিন বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছিল তাকে। ২০১৫ সালে ইংলিশ ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা এফএ এক সমর্থকের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিল। ওই সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ওয়েইন রুনিকে লেজার লাইট মারার। ওম্বেলির ওই ঘটনায় ইংলিশ সমর্থকদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। টিম নামের এক সমর্থক টুইটারে লিখেছেন ‘যে-ই লেজার লাইট ব্যবহার করুক না কেন, তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করা উচিত।’

এএন/০১