শায়েস্তাগঞ্জে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ভিড়

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


জুলাই ১১, ২০২১
০৩:৪০ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১১, ২০২১
০৩:৪০ অপরাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ভিড়

কঠোর লকডাউন চলছে। বাড়ছে চারদিকে মৃত্যুর মিছিল । প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে জেলা, উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার মাঠে রয়েছে।

এতো বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বসছে পশুর হাট,  হাজার হাজার লোকের সমাগম।

হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে নাই কোন সামাজিক দূরত্ব। এমন কি অধিকাংশ লোকের মুখে মাস্ক নাই।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পাশেই এ পৌর পশুর হাটে প্রতি শনিবার হাট বসে।

শনিবার (১০ জুলাই) সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পৌর পশুর হাটে আশাপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু কেনাবেচা করতে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এ সময় বিন্দুমাত্রও সামাজিক দূরত্ব ছিল না হাটে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই  ক্রেতা বিক্রেতাদের  বেচাকেনা করতে দেখা যায় । 

ছিলনা কোন সমাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখেই ছিল না মাস্ক। গাদাগাদি করে দাড়িয়ে আছে লোকজন। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। 

জেলার মধ্যে করোনা আক্রান্তের তালিকায় এখন পর্যন্ত শায়েস্তাগঞ্জের অবস্থান সব থেকে নিচে। 

আশংকা করা হচ্ছে পশুর হাটে এভাবে জনসমাগম হলে ব্যাপক ভাবে সংক্রমন ছাড়াবে। আর তাতে করোনা আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে পৌছে যাবে শায়েস্তাগঞ্জ। 

আব্দুস সালাম নামে এক গরু বিক্রেতা বলেন,  ‘মাস্ক পড়লে শ্বাস কষ্ট হয়।  তাই মাস্ক পড়িনাই।  তবে পকেটে রাখছি যদি পুলিশে ধরে দেখাইতে পারমু। আর আমরা গরিব মানুষ আমাদের করোনায় ধরবে না।’ 

শায়েস্তাগঞ্জ পৌর পশুর হাটের ইজারাদার মোশাহিদ তালুকদার বলেন, ‘আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। মাস্ক বিহীন কোন ক্রেতা - বিক্রেতা কে হাটে প্রবেশ করতে দেয়া হয়না। অগোচরে কেউ প্রবেশ করলে তাকে মাস্ক দেই। ’

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পশুর হাট বসাতে ইজারাদার কে বলা হয়েছে । মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব রেখে বেচাকেনা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে  আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিধিনিষেধ কার্যকরে প্রশাসন মাঠে আছে।

এস ডি/বি এন-০৪