শায়েস্তাগঞ্জে লকডাউনেও পশুর হাট, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক, শায়েস্তাগঞ্জ


জুলাই ১২, ২০২১
১১:০৯ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১২, ২০২১
১১:০৯ অপরাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জে লকডাউনেও পশুর হাট, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

কঠোর লকডাউন চলছে। চারদিকে মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও আনসার মাঠে রয়েছে। তবু বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বসেছে পশুর হাট। হচ্ছে হাজার হাজার লোকের সমাগম। হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব। এমনকি অধিকাংশ লোকের মুখে মাস্ক নেই।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে এ পৌর পশুর হাট বসে প্রতি শনিবার। এই শনিবারও (১০ জুলাই) সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পৌর পশুর হাট বসেছিল। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু কেনা-বেচা করতে এসেছিলেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এ সময় বিন্দুমাত্র সামাজিক দূরত্ব ছিল না হাটে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেচাকেনা করতে দেখা যায়। 

হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে করোনা আক্রান্তের তালিকায় এখন পর্যন্ত শায়েস্তাগঞ্জের অবস্থান সব থেকে নিচে। পশুর হাটে এভাবে জনসমাগম হলে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ছড়াবে। আর তাতে করোনা আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে পৌঁছে যেতে পারে শায়েস্তাগঞ্জ। 

মাস্ক না পরা আব্দুস সালাম নামের এক গরু বিক্রেতা বলেন, মাস্ক পরলে শ্বাসকষ্ট হয়। তাই মাস্ক পরিনি। তবে পকেটে রেখেছি। যদি পুলিশ ধরে, মাস্ক দেখাতে পারব। আর আমরা গরিব মানুষ, আমাদের করোনায় ধরবে না। 

শায়েস্তাগঞ্জ পৌর পশুর হাটের ইজারাদার মোশাহিদ তালুকদার দাবি করেন, আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। মাস্কবিহীন কোনো ক্রেতা - বিক্রেতাকে হাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। অগোচরে কেউ প্রবেশ করলে তাকে মাস্ক দেই। 

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পশুর হাট বসাতে ইজারাদারকে বলা হয়েছে। মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব রেখে বেচা-কেনা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিধিনিষেধ কার্যকরে প্রশাসন মাঠে আছে।


এসডি/আরআর-২২