নেই পিসিআর ল্যাব, ভোগান্তিতে হবিগঞ্জের মানুষ

সাইফুর রহমান তারেক, হবিগঞ্জ


জুলাই ১৫, ২০২১
০৬:১২ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৬, ২০২১
০৫:২৩ অপরাহ্ন



নেই পিসিআর ল্যাব, ভোগান্তিতে হবিগঞ্জের মানুষ

করোনার সংক্রমণ বাড়লেও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য স্থাপন করা হয়নি পিসিআর ল্যাব। যদিও প্রায় ১ বছর আগে ৪ জন ল্যাব টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পিসিআর ল্যাব না থাকায় ভোগান্তিতে আছেন জেলার ৯টি উপজেলার মানুষ।

প্রবাসী শাহিন আহমেদ বলেন, আমাদেরকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয় করোনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমাদের হবিগঞ্জে নেই  পিসিআর ল্যাব। সিলেট কিংবা ঢাকা থেকে রিপোর্ট আসতে লেগে যায় ৩ থেকে ৫ দিন। ফলে আমরা থাকি অনিশ্চয়তায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই, যেন খুব তাড়াতাড়ি হবিগঞ্জে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে দেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের প্যাথলজির সামনে নেওয়া হচ্ছে করোনা পরীক্ষার নমুনা। এতে আতঙ্কে আছেন সাধারণ রোগীরা।  করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পরীক্ষার চাপও। এতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তুহিন আহমেদ বলেন, আমরা সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত স্যাম্পল কালেকশন করি। আগের চেয়ে এখন রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বেশিরভাগ রোগী দুপুর ১২টার দিকে আসেন। অনেকে এক সঙ্গে আসার কারণে আমরা হিমশিম খাই। আমাদের আরেকজন টেকনোলজিস্ট দরকার।

এছাড়া হবিগঞ্জে মানুষ অবাধে চলাচল করায় সংক্রমণের ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে। জেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। জেলায় পিসিআর ল্যাব না থাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সিলেট ও ঢাকায়। এতে রিপোর্ট পেতে সময় লাগে ৩-৫ দিন। মাঝে মাঝে সর্বোচ্চ ৭ দিনও লেগে যায়। রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত অবাধ চলাচলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। ফলে করোনার ঝুঁকিতে আছেন সাধারণ মানুষ। পিসিআর ল্যাবের জন্য প্রায় ১ বছর আগে ৪ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে দুইজনকে আবার এরই মধ্যে বদলি করা হয়েছে। এদিকে রিপোর্ট পেতে দেরি হয় বলে অনেকেই করাচ্ছেন না করোনা পরীক্ষা।

হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অবকাঠামো কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়ায় এবং গণপূর্ত বিভাগ আমাদের কাছে হস্তান্তর না করায় এতদিন পিসিআর ল্যাব করা সম্ভব হয়নি। তবে গণপূর্ত বিভাগ খুব দ্রুত কাজ করছে এবং কাজ শেষ করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করলেই খুব দ্রুত  পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হবে।

হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন মুখলিছুর রহমান উজ্জ্বল জানান, ইতোমধ্যে হবিগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৪ জনে ও আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৮ জনের।


এসআর/আরআর-০২