ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের ফাইনালে ওয়ালটন সেন্ট্রাল-বিসিবি সাউথ

খেলা ডেস্ক


জানুয়ারি ১৩, ২০২২
০৬:০৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ১৩, ২০২২
০৬:০৬ অপরাহ্ন



ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের ফাইনালে ওয়ালটন সেন্ট্রাল-বিসিবি সাউথ

ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে লিগ পর্বের খেলা শেষে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন ও বিসিবি সাউথ জোন। দুই দলই সর্বোচ্চ ৪ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে নাম লেখায়। একই দল ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের চারদিনের ম্যাচেও। ফাইনালে সাউথকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়ালটন সেন্ট্রাল।

অন্যদিকে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন ও বিসিবি নর্থ জোন। দুটি দলই একটি করে ম্যাচ জিতেছিল। ইস্ট জোনে খেলেছেন তামিম ইকবাল আর নর্থ জোনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। 

টানা দুটি ম্যাচ জিতে ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল ওয়ালটন সেন্ট্রাল। তাই লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে সাউথ জোনের কাছে হেরেও কোনো ক্ষতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) শেষ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ওয়ালটন সেন্ট্রাল ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান করে। লক্ষ্যে খেলতে নেমে তৌহিদ হৃদয়ের অপরাজিত ৬৫ রানে ৫ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বিসিবি সাউথ।

পিনাক ঘোষ-এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে দারুণ শুরু করেছিল বিসিবি সাউথ। ২৪ রানে বিজয়কে মোসাদ্দেক ফেরালে ভাঙে ৬০ রানের জুটি। ক্রিজে এসে নতুন ব্যাটসম্যান মাইশুকুর রহমান (৭) ফেরেন হাসান মুরাদের শিকার হয়ে। কিন্তু পিনাক দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিদূর যেতে পারেননি। আউট হন ৭৯ বলে ৫৪ রান করে। এবার প্রতিরোধ গড়েন তৌহিদ হৃদয়-জাকির হাসান। দুজনের ৮০ রানের জুটিই মূলত বিসিবি সাউথকে জয় এনে দেয়। 

৪৯ বলে ৪ চারে ৪০ রান করে জাকির হাসান সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তবে তৌহিদ হৃদয়কে থামাতে পারেননি ওয়ালটন সেন্ট্রালের কোনো বোলার। ৭৮ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৬৫ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। এছাড়া নাহিদুল ইসলাম খেলেন ২২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদী হাসান। ওয়ালটন সেন্ট্রালের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন মুরাদ। 

এর আগে আবু হায়দার রনির ঝড়ে ওয়ালটন সেন্ট্রাল ২২১ রানের লক্ষ্য দিতে পারে। মোস্তাফিজুর রহমানের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ঝড় তুলেছিলেন রনি। বাঁহাতি পেসারের বোলিংয়েই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ওয়ালটন সেন্ট্রাল। শেষ ওভারে রনির ২ ছয় ও ২ চারে ২১ রান তোলে তারা, তাতে লড়াকু স্কোর পেয়ে যায় দলটি।

২৭ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন রনি। আগের ৯ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে চার উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজ বোলিংয়ে আসেন ইনিংসের শেষ ওভারে। প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে রনিকে স্ট্রাইক দেন নাজমুল ইসলাম অপু। এরপর শুরু হয় রনি ঝড়। ডিপ মিড উইকেটে দারুণ চার দিয়ে শুরু, একই জায়গায় ছয় দিয়ে শেষ। মাঝে কাউ কর্নারে একটি ছয় ও লং অফে এক চার। হাফ সেঞ্চুরি করা এই ইনিংসে ছিল ৪ চার ও ২ ছয়। 

আবদুল মজিদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত হাফ সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও ব্যর্থ হন। তিন উইকেট পড়ার পর খেলার হাল ধরেন মজিদ-মোসাদ্দেক। দুজনে জুটি গড়ে সচল রেখেছিলেন রানের চাকা। 

৪৬ রান করে মজিদ মেহেদী হাসানের বলে সাজঘরে ফিরলে ৬৪ রানে ভেঙে যায় জুটি। মজিদের ফেরার পর মোসাদ্দেকেরও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকা হয়নি। মোস্তাফিজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৪৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওয়ালটন সেন্ট্রালের অধিনায়ক। দুজন কাছে গিয়েও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না।

এছাড়া আল আমিন ২৫ ও তাইবুর রহমান ২৩ রান করেন। শেষ ওভার ছাড়া পুরো ইনিংস জুড়েই মোস্তাফিজ আলো ছড়িয়েছিলেন। ১০ ওভারে তিনি ৩৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ৩ উইকেট নেন মেহেদী হাসান। ১ উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বী।

আরসি-১১