স্বাধীনতা কাপের শিরোপাও মধ্যাঞ্চলের

ক্রীড়া প্রতিবেদক


জানুয়ারি ১৫, ২০২২
০৬:১০ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ১৫, ২০২২
০৬:১০ অপরাহ্ন



স্বাধীনতা কাপের শিরোপাও মধ্যাঞ্চলের

ইনিংসের ৪৩তম ওভারে যখন ফরহাদ রেজা বল করতে এলেন, ততক্ষণে স্কোরবোর্ড সমান সমান। প্রথম দুই বলে কোনো রান নেননি মোসাদ্দেক। তৃতীয় বলে শর্ট কাভারে ঠেলে দিয়ে মোসাদ্দেক দিলেন ভোঁ দৌড়। উইকেটের এ প্রান্তে এসেই স্ট্যাম্প তুলে নেন তিনি। এরপর শুরু হয় বিজয়োল্লাস। ডাবলস জয়ের উল্লাস।

আজ শনিবার (১) ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ১৬৩ রান করে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল। ৪৫ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় ওয়ালটন সেন্ট্রাল। মোসাদ্দেক ৩৩ ও আল আমিন ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৮৮ রান।

লড়াইটা শুরু হয়েছিল ৭৬ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর। এরপর দেখে শুনে বুঝে খেলছেন দুজনে। সিঙ্গেল-ডাবলসের সঙ্গে ছিল বাউন্ডারির মার। তবে ভাগ্যও সহায় ছিল। সহজ ক্যাচ ফেলেছেন নাসুমরা।

শুধু ব্যাট নয় ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের অধিনায়ক মোসাদ্দেক বল হাতেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ব্যাটে-বলে নৈপূণ্য দেখিয়ে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলকে চ্যাম্পিয়ন করতে রেখেছেন দারুণ ভূমিকা।

রান তাড়া করতে নেমে মিজানুর রহমান-সৌম্য সরকার দুর্দান্ত শুরু এনে দেন। বলে-রানে ছিল প্রায় সমান। উদ্বোধনী জুটি ৫০ ছড়িয়ে পার করে ফেলে ৬০ রানের ঘরও। তখনই বাগড়া দিলেন নাসুম আহমেদ। ২১ রান করা সৌম্যকে ফেরান সাজঘরে। ভেঙে যায় মিজানুরের সঙ্গে গড়া ৬৫ রানের জুটি।

সৌম্যর আউটের পর স্কোরবোর্ডে ১১ রান যোগ না হতেই ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল আরও তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে। দুর্দান্ত খেলতে থাকা মিজানুর ফেরেন নাসুমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৩ বলে ৩৯ রান। দুই অঙ্কের ঘর ছোঁয়ার আগেই ফেরেন  আবদুল মজিদ (১) ও  মোহাম্মদ মিঠুন (৪) । সবশেষ দুই ম্যাচে মিঠুন অসুস্থ থাকায় দলে ছিলেন না। ফাইনালের মঞ্চে ফিরেও রাঙাতে পারেননি। দক্ষিণাঞ্চল হয়ে সর্বোচ্চ নাসুম একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট।

এর আগে পিনাক-বিজয় বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের শুরুটা এনে দিয়েছিলেন দারুণ। দুজনের পঞ্চাশ রানের জুটি পার হতেই তাদের থামিয়ে স্বস্তি এনে দেন নাজমুল ইসলাম অপু। ২০ রানে বিজয় ফিরলে ৫১ রানে ভাঙে জুটি। এরপর সৌম্যর বলে ওপেনার পিনাক ঘোষও ফেরেন একটু পরেই। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান।

দুজন ফেরার পর নতুন ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় অপুর শিকার হয়ে ফেরেন শূন্যরানে। অমিত হাসান-জাকির হাসান খেলার হাল ধরেন। ১৪ রানে সৈকতের বলে বোল্ড হলে এই জুটিও ভেঙে যায় ৩৪ রানে। অমিতও বেশি দূর যেতে পারেননি। ২৯ রান করা অমিতও মোসাদ্দেকের শিকার।

একাই লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন নাহিদুল ইসলাম। কিন্তু তিনি কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাননি। এক প্রান্তে নাহিদুল আগলে রাখলেও আরেক প্রান্তে পড়তে থাকে উইকেট। তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। শেষ চার ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি।

ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের ৫ বোলার, সৈকত, অপু, সৌম্য, হাসান মুরাদ ও মৃত্যুঞ্জয় নেন দুটি করে উইকেট। একমাত্র রবিউল হক ছাড়া সকলে উইকেটের দেখা পান। আবু হায়দার রনির পরিবর্তে একাদাশে জায়গা পেয়েছিলেন রবিউল।

আরসি-০৬