মৃত্যুঞ্জয়ের হ্যাটট্রিকে চট্টগ্রামের দুর্দান্ত জয়

খেলা ডেস্ক


জানুয়ারি ২৯, ২০২২
০১:৫৯ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৯, ২০২২
০১:৫৯ অপরাহ্ন



মৃত্যুঞ্জয়ের হ্যাটট্রিকে চট্টগ্রামের দুর্দান্ত জয়

ঘরের মাঠে আজ বিশাল স্কোর গড়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দুইশ ছাড়ানো সেই স্কোরের জবাব ভালোই দিচ্ছিল সিলেট। একপর্যায়ে তাদের জয় দেখছিলেন অনেকে। কিন্তু সব সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। হ্যাটট্রিক করে সিলেটের জয়ের দ্বার বন্ধ করে দেন। সে বন্ধ দ্বার ভেঙে আর ফিরতে পারেনি সিলেট। ১৬ রানে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয়।

রান তাড়ায় নেমে শুরুতে ধাক্কা খেয়েছিল সিলেট সানরাইজার্স। দলীয় ৯ রানে নাসুম আহামেদের বলে কেনার লুইসের দারুন স্টাম্পিংয়ের শিকার হন আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান লিন্ডলে সিমন্স (৯)। এরপর জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন এনামুল হক বিজয় এবং কলিন ইনগ্রাম। দুজনেই ফিফটি তুলে নেন।

এনামুল হক ৩২ বলে ক্যারিয়ারর ১১তম আর ইনগ্রাম ৩৬ বলে ৮ চার ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের ৪৪ নম্বর ফিফটি পুরণ করেন। মেহেদি মিরাজের করা পরের বলেই অবশ্য ইনগ্রাম বোল্ড হয়ে যান। অবসান হয় ৭৫ বলে ১১২ রানের দুর্দান্ত এক জুটির। এরপর উইকেটে এসেই নাসুম আহমেদের বলে স্টাম্পড হন আলাউদ্দিন বাবু (১)।

বিজয়ের সঙ্গী হন রবি বোপারা। তাদের ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে ২০ বলে ৪২ রানের জুটি দাঁড়িয়ে যায়। এমন সময় বিজয়কে নাসুম আহমেদের তালুবন্দি করেন মৃত্যুঞ্জয়। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হওয়ার আগে ৪৭ বলে ৯ চার ৩ ছক্কায় ৭৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন বিজয়। ব্যাট করেছেন ১৬৫.৯৫ স্ট্রাইক রেটে। পরের বলে তার শিকার হন সিলেট অধিনায়ক মোসাদ্দেক (০)। পঞ্চম বলে রবি বোপারাকে (১২) বোল্ড করে মৃত্যুঞ্জয় হ্যাটট্রিক পূরণ করেন।

চলতি বিপিএলে এটি প্রথম হ্যাটট্রিক। সিলেট আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ৬ উইকেটে ১৮৬ রানেই তারা থামে। ১৬ রানের জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম। ৪ ওভারে ৩৩ রানে মৃত্যুঞ্জয়ের হ্যাটট্রিক ছাড়াও নাসুম নিয়েছেন ২ উইকেট। বেদম মার খেয়ে ৪ ওভারে ৩৯ দেওয়া শরীফুল উইকেটশূন্য।  

এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ২০২ রান তোলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ঘরের মাঠে স্বাগতিক দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন কেনার লুইস এবং উইল জ্যাকস। মাত্র ৪.৪ ওভারে দুজনে গড়েন ৬২ রানের ওপেনিং জুটি। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৮ বলে ফিফটি তুলে নেন উইল জ্যাকস। তাসকিনকে বাউন্ডারি মেরে হাফ সেঞ্চুরি করার পরের বলেই সিমন্সের তালুবন্দি হয়ে ফিরেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার। থামে ১৯ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ১২ বলে ৮ রান করা অপর ওপেনার কেনার লুইস বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পরের ওভারেই সোহাগ গাজীর বলে সানজামুলের তালুবন্দি হন।

ঝড়ো শুরুর পর এই পর্যায়ে চট্টগ্রামের রান তোলার গতি কমে যায়। ৪৭ রানের জুটিতে বিপর্যয় সামাল দেন পরের দুই ব্যাটার আফিফ হোসেন এবং সাব্বির রহমান। মোসাদ্দেকের বলে ক্যাচ দিয়ে ২৯ বলে ৩ চারে ৩১ রান করা সাব্বির আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর আফিফও ২৮ বলে ১ চার ৩ ছক্কায় ৩৮ রান করে রবি বোপারার শিকার হন। নতুন অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ৭ বলে ৮ রান করেন। ব্যাট হাতে বিধ্বংসী বেনি হাওয়েল খেলেন ২১ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৪১* রানের অপরাজিত ইনিংস। সদ্য নেতৃত্ব হারানো মেহেদি মিরাজও ৪ বলে ২ ছক্কায় ১৩* রান করে অবদান রাখেন। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১০ বলে ৩১ রানের বিধ্বংসী জুটিতে চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২০২ রান। তাসকিনের শেষ ওভার থেকে এই দুজন তিন ছক্কায় নেন ২২ রান।

আরসি-১১