শুভাগতর দুই ছক্কায় জয়ে ফিরল ঢাকা

খেলা ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২
০৫:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২
০৫:৪৫ অপরাহ্ন



শুভাগতর দুই ছক্কায় জয়ে ফিরল ঢাকা

আগের দিন শেষ ওভারে ৯ রান নিতে পারেনি মিনিস্টার ঢাকা। এদিনও শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। আরেকটু কঠিন সমীকরণ এবার অনেক সহজেই মিলিয়ে দিলেন শুভাগত হোম। প্রথম দুই বলেই দুই ছক্কায় খেলে শেষ করে দেন তিনি। 

বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লো স্কোরিং ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মিনিস্টার ঢাকা। খুলনার করা ১২৯ রান তারা পেরিয়ে যায় ৪ বল আগে। এই জয়ে প্লে অফের আশা ভালোভাবেই টিকে থাকল ঢাকার। প্লে অফের পথে অপেক্ষা বাড়ল খুলনার।

দলের জেতার পথ করে দিতে এদিন বড় অবদান ছিল আরেক শুভর। বিপিএলে প্রথমবার নেমে শামসুর রহমান শুভ খেলেন দারুণ কার্যকর এক ইনিংস। পাঁচে নেমে ১৪ বলে ২ ছক্কায় ২৫ রান করেন তিনি। এর আগে রান তাড়ায় দলের বিপর্যয়ে বড় ভূমিকা ছিল জহুরুল ইসলাম অমি আর মাহমুদউল্লাহর। ৩৬ বলে ৩৪ করেছেন মাহমুদউল্লাহ, ৩৫ বলে ৩০ করেন জহুরুল।

১৩০ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ঢাকার। তৃতীয় ওভারে বিদায় নেন ছন্দে থাকা তামিম ইকবাল। নাবিল সামাদের বলে তামিমকে রিভিউ নিয়ে ফেরায় খুলনা। আরেক ওপেনার ইমরানুজ্জামান এক ছক্কায় মেরেই থামান দৌড়।

১২ রানে ২ উইকেট হারানোর পরিস্থিতি থেকে জহুরুল-মাহমুদউল্লাহর সেই জুটি। উইকেটের কন্ডিশন পড়ে খেলার গতিপথ মুঠোয় নিয়ে ফেলেন তারা। ক্রমশ ম্যাচ থেকে বের করে দিতে থাকেন খুলনাকে। তৃতীয় উইকেটে তাদের জুটিতে আসে ৫৫ বলে ৫৭ রান। ৩৫ বলে ৩০ করা জহুরুল রুয়েল মিয়ার বলে বোল্ড হয়ে সম্ভাবনা জেগেছিল খুলনার।

টুর্নামেন্টে প্রথমবার নামা শামসুরের ব্যাটে সেই সম্ভাবনা আবার নিভতে থাকে। খালেদ আহমেদকে শামসুর উড়ান দুই ছক্কায়, বাউন্ডারি বের করেন থিসারার বল থেকে। তার ঝড়ো ব্যাটিং কমিয়ে দেয় রানরেটের চাপ। 

থিসারার বলে ক্যাচ মাহমুদউল্লাহ, শামসুর দুজনেই ফিরলে শেষ দিকে ক্লাইম্যাক্স দেখা দেয়। শুভাগত ঠাণ্ডা মাথায় সামলেছেন বাকি পরিস্থিতি। ৯ বলে ১৮ করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।

আগের দিনের ব্যবহৃত উইকেটে টস জিতে সাহস করে ব্যাটিং নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে খেলতে নেমে পড়ল চরম বিপর্যয়ে।

রানের চাকার স্থবিরতার সঙ্গে পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট। শুরুটা সৌম্য সরকারকে দিয়ে। রুবেল হোসেনের বলে তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে শুভাগতের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন তিনি।

তিনে নামা জাকের আলি ভুল বোঝাবুঝিতে হন রান আউট। ধুঁকতে থাকা আন্দ্রে ফ্লেচারের সংগ্রাম থামান আরাফাত সানি। পরের বলে ইয়াসির আলিকে বোল্ড করে দেন তিনি। ১২ রানে পড়ে যায় ৪ উইকেট। মুশফিকও এমন পরিস্থিতিতে দলকে দিতে পারেননি ভরসা।

১২ বলে ১২ করে আমমতুল্লাহ ওমরজাইর বলে আয়েশি ঢঙে ব্যাট চালিয়ে বোল্ড হন তিনি। ৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে থাকা খুলনা এরপরে পায় প্রতিরোধ। টানা তিন জুটিতে দলকে খেলায় রাখেন রাজা। শেখ মেহেদীর সঙ্গে ২৬, থিসারা পেরেরার সঙ্গে ৩৯ ও রুয়েল মিয়ার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩২ রান আনেন তিনি।

শুরুতে থিতু হতে একটু সময় নিয়েছিলেন। পরে সময়ের সঙ্গে মেলেন ডানা। জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৫০ বলে করেন ৬৪ রান। তার ৪ ছক্কা, ৫ চারের ইনিংসটি লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয় দলকে। ওই রান নিয়ে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করলেও ম্যাচ শেষে হাসি থাকেনি খুলনার।

আরসি-০৬