সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ৩০, ২০২২
১২:০৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ৩০, ২০২২
১২:০৯ পূর্বাহ্ন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুতর বলে উল্লেখ করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা।
সোমবার (২৯ আগস্ট) তারা জানান, খালেদা জিয়ার লিভার ও কিডনির অবস্থা খারাপ হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মানবিক কারণে সরকার এবার তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেবেন বলে আশা তাদের।
রবিবার রাতে ষষ্ঠবারের মতো রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। চিকিৎসকরা বলছেন তার লিভারের সমস্যা আরো গুরুতর হয়েছে।
তারা বলেন, তিনি ক্রনিক লিভার ডিজিজে আক্রান্ত। কিডনির জটিলতাও বেড়েছে। ৭৭ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসনকে রোববার রাত থেকেজ কেবিনে রাখা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেন, তবে খালেদা জিয়া সিসিইউর ডাক্তার ও নার্সদের পর্যবেক্ষণে আছেন। তার আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। যার ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে তার চিকিৎসা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন রবিবারবলেন, ম্যাডামকে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন এটা বলার কোনো সুযোগ নেই।
সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এবার সরকার তাকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি দেবেন বলে আশা তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
এর আগে ২২ আগস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। কয়েকটি পরীক্ষা শেষে গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি।
গত বছরের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর গত জুন পর্যন্ত তাকে পাঁচ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০১৮ সাল থেকে আড়াই বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। মাঝে এক বছর কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০২০ সাল থেকে শর্ত সাপেক্ষে কারামুক্ত হন বিএনপি নেত্রী। তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে পরিবারের পক্ষ কয়েকবার আবেদন করা হলেও, সরকার তা বাতিল করে দেয়।
বিএ-০২