বিজয়া দশমী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক


অক্টোবর ০৫, ২০২২
০৪:১৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ০৫, ২০২২
০৪:১৬ পূর্বাহ্ন



বিজয়া দশমী আজ

চারদিকে বাজছে বিষাদের সুর। কারণ মা দুর্গার বিদায়ের পালা। আজ বুধবার শুভ বিজয়া দশমী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পাঁচ দিনের আরাধনা শেষ হবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়া মর্ত্যলোক ছেড়ে বিদায় নেবেন মা। দশমী এলেই তাদের মনে আসে মায়ের ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটি বছর। 

আজ সকালে দশমী পূজার মাধ্যমে বিজয়া দশমী পূজা শুরু হবে। দশমী বিহিত পূজা ও দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব। সব ধরনের অশুভ ও অমঙ্গল থেকে মুক্তিলাভই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এবারের চাওয়া।

এর আগে মঙ্গলবার দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিন মহানবমীতে অশুভশক্তি বিনাশের প্রার্থনা করেছেন ভক্তরা। মঙ্গলবার নবমীর দিনে বেলা ১১টায় শুরু হয় যজ্ঞানুষ্ঠান। অন্য দিনের তুলনায় ভিড় কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মণ্ডপগুলোতে আসতে শুরু করেন ভক্তরা। এদিন পূজার আনন্দ যেমন হয়, তেমনি বিদায়ের সুরও বাজে।

এদিন ষোড়শ উপচারে দেবীর বন্দনা ও মহাস্নানযজ্ঞ হয়। সন্ধ্যায় আরতি বন্দনায় ‘আনন্দময়ী’র অর্চনা করেন ভক্তরা।করোনা মহামারি থেকে মুক্ত জীবনে ফেরার প্রার্থনা করেছেন তারা।

এ বছর সিলেট মহানগর ও জেলায় ৬১১টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। মহানগরে ১৫৪টি ও জেলায় ৪৫৭টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

হিন্দু আচার অনুযায়ী, মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা—এই তিন মিলে দুর্গোৎসব। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ সারা দেশের মন্দিরে-মণ্ডপে গত ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া তিথির মাধ্যমে শুরু হয়েছে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ত্রেতা যুগে রাম তার স্ত্রী সীতাকে উদ্ধার করতে দেবী দুর্গার অকালবোধন করেন। ব্রহ্মার নির্দেশ অনুযায়ী দুর্গার সাহায্যে রাবণ বধ করে সীতাকে উদ্ধার করেন তিনি। দেবীর সেই আগমনের সময়ই দুর্গোৎসব। রাম শরৎকালে দেবীকে আহ্বান করেছিলেন বলে এ পূজা শারদীয় দুর্গাপূজা নামেও পরিচিত। আর মর্ত্যলোকে আসতে দেবীর সেই ঘুম ভাঙানোকে বলা হয় অকালবোধন।

শাস্ত্র বলছে, মহাসপ্তমীর দিন রবিবার হওয়ায় এবার দেবী দুর্গা এসেছেন হাতিতে। শাস্ত্রমতে গজ দেবীর উৎকৃষ্টতম বাহন। তাই দেবীর আগমন বা গমন হাতিতে হলে মর্ত্যলোক ভরে ওঠে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে; পূর্ণ হয় ভক্তদের মনোবাঞ্ছা। পরিশ্রমের সুফল পায় মর্ত্যলোকের অধিবাসীরা। অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি নয়, ঠিক যতটা প্রয়োজন ততটা বর্ষণ হয়।

শাস্ত্রমতে, সপ্তমী বা দশমী বুধবার হলে দেবীর আসা বা যাওয়া নৌকায়। ফল ‘শস্য বুদ্ধিস্তথাজলম’ অর্থাৎ প্রবল বন্যা ও খরা দেখা যায়। নৌকায় মনোকামনা পূর্ণ হওয়া সূচিত হয়। ধরিত্রী হয়ে ওঠে শস্যশ্যামলা। কিন্তু সেই সঙ্গে অতিবর্ষণ বা প্লাবনের আশঙ্কাও দেখা দেয়।

এসই/০৫