সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ০৯, ২০২২
০৯:২৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৯, ২০২২
০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
নির্বাচনের সময় মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘আপনারা আচরণবিধি মেনে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব গণকর্মচারী হিসেবে বা সরকারি কর্মচারী হিসেবে পালন করবেন, দলীয় কর্মচারী হিসেবে নয়।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জেলা পরিষদসহ অন্যান্য নির্বাচন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) সঙ্গে ইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের সময় পুলিশ প্রশাসন কোনো একটি দলের হয়ে কাজ করতে পারে কি না, এ বিষয়ে আপনারা তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবের সিইসি বলেন, ‘আমরা বলেছি এটা করবেন না। সবসময় এটা করে এটাও আমরা বিশ্বাস করি না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এটাই বাস্তব।’
তিনি বলেন, ডিসি-এসপিরা জনগণের খুব কাছাকাছি থাকেন। সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকার এবং দল এমনভাবে মিশে থাকে যে একটা থেকে আরেকটা আলাদা করা বেশ কষ্টসাধ্য। যার ফলে অনেক সময় হয়তোবা প্রভাব চলে আসতে পারে। এরপরেও আমরা দেখেছি আমাদের ডিসি ও এসপিরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেন। কোনো ক্ষেত্রে যদি ব্যত্যয় ঘটে থাকে আমরা বলেছি আপনাদের কর্মে কোনো শৈথিল্য থাকবে না। নির্বাচন কমিশন এবার শক্ত অবস্থানে থাকবে। আপনারা আচরণবিধি মেনে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব গণকর্মচারী হিসেবে বা সরকারি কর্মচারী হিসেবে পালন করবেন, দলীয় কর্মচারী হিসেবে নয়।
নির্বাচনের সময় প্রশাসন সরকারের অধীনে থাকবে নাকি নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আইনে পর্যাপ্ত ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। আমাদের যেটুকু দায়িত্ব আমাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন আর প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে বাহিনীগুলো আছে; এমনকি সেনাবাহিনীকেও প্রয়োজন হতে পারে। তারা অবশ্যই নির্বাচন প্রশ্নে আমাদের অধীনে থাকবে। আমাদের যেকোনো নির্দেশনা মানতে এবং প্রতিপালন করতে বাধ্য থাকবে। যদি অবাধ্য হয়, তাহলে আমাদের তরফ থেকে কী করণীয় সেটা আমরা করব।
মাঠ প্রশাসনের প্রতি রাজনৈতিক চাপ রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওইভাবে চাপ তাদের নেই। তারাও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন যে তারা নিরপেক্ষ আচরণ করবেন।
সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাউকে হয়রানি করা না হয় সেটা আমরা বলেছি। নির্বাচনের এখনও এক বছর দুই মাস বাকি আছে। তাদের আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। যাতে আগামী নির্বাচনে সবার আস্থা অর্জন করতে পারে।
ভোট পদ্ধতিতে কিছু সংস্কারের বিষয়ে সিইসি বলেন, ডিসিরা কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা বলেছেন। ভোটকেন্দ্র পুনর্বিন্যস্ত করার কথা বলেছেন। কেন্দ্র কমিয়ে বুথ বাড়ানোর কথা বলেছেন। আমরা বিষয়টা বিবেচনা করব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবীব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর প্রমুখ।
এসই/১০