সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ১৮, ২০২২
০৮:২৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১৮, ২০২২
১১:৪৯ অপরাহ্ন
সিলেট বিভাগের ৪ জেলাসহ সারা দেশে ৫৭ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টায় নির্ধারিত সময়েই ৪৬২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
সিলেট বিভাগের ৪ জেলা থেকে নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। বিকালে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এসব ফলাফল একত্রিত করে পরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
সিলেট
সিলেটে ভোটগণনা শেষে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী সাধারণ সদস্য পদে সিলেট জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডে (সদর উপজেলা) মাওলানা মো. মুছাদ্দিক আহমদ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
২ নং ওয়ার্ডে (দক্ষিণ সুরমা উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতি হাতি প্রতীকে ৭০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ মকবুল হোসেন টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১০টি ভোট।
৩ নং ওয়ার্ডে (ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা নাহিদ হাসান চৌধুরী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৩৭টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিদুর রহমান রুমান তালা প্রতীক নিয়ে ২৮টি ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও আরেক প্রার্থী আবদুল আউয়াল কয়েস হাতি মার্কায় পেয়েছেন ২৪টি ভোট।
৪ নং ওয়ার্ডে (বালাগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা টিউবয়েল প্রতীক নিয়ে লড়াই করে মো. নাসির উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।
৫ নং ওয়ার্ডে (ওসমানীনগর উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হামিদ সিএনজি অটোরিকশা প্রতীকে ৪৩টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
৬ নং ওয়ার্ডে (বিশ্বনাথ) উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ ৭০টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সহল আল রাজি চৌধুরী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১টি ভোট।
৭ নং ওয়ার্ডে (গোলাপগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফয়জুল ইসলাম ফয়ছল বৈদ্যুতিক পাখা মার্কায় ৬৯টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম. মুজিবুর রহমান মুজিব তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১টি, সমাজসেবী মো. ফজলুর রহমান জসিম ঘুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২৮টি ও আওয়ামী লীগ নেতা স্যায়িদ আহমদ সুহেদ অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ২৫টি ভোট।
৮ নং ওয়ার্ডে (বিয়ানীবাজার উপজেলা) খসরুল হক খসরু উট পাখি প্রতীকে ৪৭টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
৯ নং ওয়ার্ডে (জৈন্তাপুর উপজেলা) মোহাম্মদ শাহজাহান টিউবওয়েল প্রতীকে ৫৬টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে মো. মুহিবুল হক তালা প্রতীকে ৪৯টি ও মোহাম্মদ নুরুল আমিন অটোরিকশা প্রতীকে ১২টি ভোট পেয়েছেন।
১০ নং ওয়ার্ডে (গোয়াইনঘাট উপজেলা) সুবাস দাস হাতি প্রতীক নিয়ে বিজয় লাভ করেছেন।
১১ নং ওয়ার্ড (কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের আংশিক) আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব আলী কালা মিয়া অটোরিকশা প্রতীকে ৭২টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬টি ভোট।
১২ নং ওয়ার্ডে (কানাইঘাট উপজেলা ও জকিগঞ্জের আংশিক) আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ বিজয়ী হয়েছেন।
১৩ নং ওয়ার্ডে (জকিগঞ্জ উপজেলা) ইফজাল আহমদ চৌধুরী টিউবওয়েল প্রতীকে ৬৫টি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতের মধ্যে মোহাম্মদ শামীম আহমদ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৪৯টি ও আবদুর রহমান তালা প্রতীকে ৩টি ভোট পেয়েছেন।
এদিকে সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত ৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪টিতে সাবেক নারী সদস্যরা বিজয়ী হয়েছেন।
তারা হলেন- ১নং ওয়ার্ডে আমাতুজ জোহরা রওশন জেবিন রুবা, ২নং ওয়ার্ডে, সুষমা সুলতানা রুহি, ৩নং ওয়ার্ডে হাসিনা বেগম ও ৪নং ওয়ার্ডে তামান্না আক্তার হেনা এবং ৫নং ওয়ার্ডে সদ্য সাবেক সাজনা সুলতানাকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন নতুন প্রার্থী মনিজা বেগম।
সিলেটে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ কার্যক্রম। সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদান করেন জনপ্রতিনিধিরা।
সিলেটে এবার ১৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড মিলিয়ে সদস্য প্রার্থী ছিলেন ৬৪ জন। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৭ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৭ জন।
এবার সিলেটে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। ফলে নির্বাচনের আগেই তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
সুনামগঞ্জ
বিপুল উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। সোমবার বিকালে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মিলনায়তনে নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা করেন রির্টানিং অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
নির্বাচনে ১ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে চন্দন খানকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি তালা প্রতীকে ২৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ২৬ ভোট ও ফেরদৌসুর রহমান হাতি প্রতীকে ২৬ পেয়েছেন।
২ নং ওয়ার্ডে ২ নং ওয়ার্ডে আব্দুস সালাম তালা প্রতীকে ২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পরিতোষ সরকার হাতি প্রতীকে ২৪ ভোট পেয়েছেন।
৩ নং ওয়ার্ডে তালা প্রতীকে ৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন মো মুজিবুর রহমান। তাঁর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মেহেদী হাসান উজ্জ্বল টিউবওয়েল প্রতীকে ৩২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
৪ নং ওয়ার্ডে তালা প্রতীকে ৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. হোসেন আলী। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান মিরাশ হাতি প্রতীকে ২৩ ভোট এবং মো. মহিবুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীকে মাত্র ৪ ভোট পেয়েছেন।
৫ নং ওয়ার্ডে দ্বিপক তালুকদার তালা প্রতীকে ৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। শাহানা আল আজাদ টিউবওয়েল প্রতীকে মাত্র ৪ ভোট এবং মো. মিসবাহ উদ্দিন ঘুড়ি প্রতীকে ২৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
৬ নং ওয়ার্ডে রায়হান মিয়া হাতি প্রতীকে ৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী মো. নাজমুল হক তালা প্রতীকে ৫৩ ভোট এবং আব্দুল্লাহ আল বাকী আজাদ টিউবওয়েল প্রতীকে মাত্র ৮ ভোট পেয়েছেন।
৭ নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে টিকেন্দ্র চন্দ্র দাস বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি বক প্রতীকে ২৬ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুস সাল্মা তালা প্রতীকে ১৪ ভোট এবং বাদল চন্দ্র দাস টিউব ওয়েল প্রতীকে ১ ভোট এবং মো. জামান চৌধুরী হাতি প্রতীকে ১২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
৮ নং ওয়ার্ডে মাহতাব উল তালুকদার বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি তালা প্রতীকে ৬৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সিরাজ উদ্দিন ঘুড়ি প্রতীকে ১১ ভোট এবং হারুন মিয়া টিউবওয়েল প্রতীকে ৪০ পেয়েছেন।
৯ নং ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। মনিরুজ্জামান বারী । তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে ১০২ পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রুকুনুজ্জামান ঘুড়ি পেয়েছেন মাত্র ৪ ভোট।
১০ নং ওয়ার্ডে মো. মনির উদ্দিন তালা প্রতীকে ৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল কাদির হাতি প্রতীকে ৫৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
১১ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন মা. আব্দুল খালেক। তিনি তালা প্রতীকে ৭৯ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো, রফিকুল ইসলাম বক প্রতীকে ৪০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
১২ ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন সাহেদ মিয়া। তালা প্রতীকে ১৬ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আব্দুস সহিদ মুহিত টিউবওয়েল প্রতীকে ৫৩ ভোট এবং আব্দুল খয়ের ঘুড়ি প্রতীকে ১৩ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন সেলিনা বেগম। তিনি হরিণ প্রতীকে ১১১ ভোট। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোছা তাছমিনা বেগম ফুটবল প্রতীকে ৭০ ভোট ও আইরিন মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ১০৫ ভোট।
২ নং ওয়ার্ডে বীনা জয়নাল টেবিলঘড়ি প্রতীকে ১৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খালেদা আক্তার ফুটবল প্রতীকে ৩৭ ভোট এবং সুলতানা রাজিয়া হরিণ প্রতীকে ৮৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
৩ নং ওয়ার্ডে ফৌজিয়ারা বেগম লাটিম প্রতীক ১৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জুবিলী বেগম মাইক প্রতীকে ১১১ ভোট ও সানজিদা নাসরীন দিনা ফুটবল প্রতীকে ৭১ পেয়েছেন।
৪ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন মোছা নুরুন্নাহার। তিনি হরিণ প্রতীক ১৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সেলিনা আক্তার ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪২ ভোট।
মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মৌলভীবাজার সদর উপজেলা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন হাসান আহমেদ জাবেদ।
হাসান আহমেদ জাবেদ ও অপর প্রার্থী আতাউর রহমান সমানসংখ্যক ৮০ ভোট পেলে লটারীর মাধ্যমে তিনি বিজয়ী হোন।
এদিকে কমলগঞ্জে অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন, শ্রীমঙ্গলে মশিউর রহমান রিপন, কুলাউড়ায় বদরুল আলম নান্নু, জুড়ীতে বদরুল ইসলাম, বড়লেখায় আজিম উদ্দিন এবং রাজনগরে জিয়াউর রহমান জিয়া বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন হেলেনা চৌধুরী। সদর-রাজনগর থেকে নির্বাচিত হয়েছেন রাকিবা সুলতানা তালুকদার। বড়লেখা-জুড়ী-কুলাউড়া আসনে নির্বাচিত হয়েছেন শিরিন আক্তার চৌধুরী মুন্নী।
ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিছবাহুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সোমবার নির্বাচনে শুধু ৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২১ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
জেলার ৭টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৯৫৬ জন। মেয়র, কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
শান্তিপূর্ণ ভোটদান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়।
হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের দলীয় প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর চেয়ে ১২ গুন ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত চেয়রম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ৯৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু নঈম মো. শিবলী খায়ের আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৭ ভোট এবং অপর প্রার্থী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুল হক চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৩টি।
নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ১নং আসনে মোহাম্মদ ফেরদৌস মিয়া (হাতি), ২নং আসনে মোঃ ইমরান মিয়া (তালা), ৩নং আসনে শেখ মোঃ শফিকুজ্জামান (টিউবওয়েল), ৪নং আসনে মোঃ জসিম উদ্দিন (তালা), ৫নং আসনে মোঃ নূরুল আমিন ওসমান (অটোরিক্স), ৬নং আসনে মোঃ আব্দুল আজিজ (অটোরিক্স), ৭নং আসনে আলাউর রহমান সাহেদ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত), ৮নং আসনে সৈয়দ মোঃ শামীম আনোয়ার (তালা), ৯নং আসনে মোঃ আইয়ূব আলী (তালা) ও সংরক্ষিত মহিলা ১নং আসনে শিরিনা আক্তার (দোয়াত কলম), ২নং আসনে শাম্মী আক্তার সুমী (মাইক), ২নং আসনে রাহেলা খাতুন (হরিণ) নির্বাচিত হয়েছেন।
৯টি কেন্দ্রে জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা ও ৯টি উপজেলার পরিষদে ১ হাজার ৫৭৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। জেলার ৯টি সাধারণ আসনে ৩০ ও সংরক্ষিত ৩টি আসনে ১০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিকেল সাড়ে ৫ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান।
উল্লেখ্য দেশের তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১ জেলায় এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। পরে হাই কোর্টের আদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালীর নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।
ভোলা ও ফেনীর সকল পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে সোমবার ভোট হয় ৫৭ জেলা পরিষদে।
যে ২৬ জেলায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- ফেনী, ভোলা, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জামালপুর, ঝালকাঠী, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, ঢাকা, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বাগেরহাট, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট জেলা।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।
গাইবান্ধা উপ নির্বাচনের মতই সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকার নির্বাচন ভবনের মনিটরিং সেল থেকে সব জেলার ভোটের পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
এসই/ ০১