ধর্মপাশার সুনই জলমহালের এক পাহারাদারকে হত্যা, ১৫ আসামি কারাগারে

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


অক্টোবর ২৩, ২০২২
০৬:১৯ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৩, ২০২২
০৬:২৫ অপরাহ্ন



ধর্মপাশার সুনই জলমহালের এক পাহারাদারকে হত্যা, ১৫ আসামি কারাগারে

জলমহালে অবৈধভাবে জেলেদেরকে মাছ ধরতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলেদের ইটের ছোঁড়া আঘাত ও মারধরে নিহত হন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বেখইজোড়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলার সুনই জলমহালের পাহারাদার তৌফিকুল ইসলাম (৪০)।

গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার সুনই জলমহালে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ৯ সেপ্টেম্বর নিহত ওই পাহাদারের স্ত্রী শারমীন আক্তার (৩০) বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫জন কে আসামি করে ধর্মপাশা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এর প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার (২৩অক্টোবর) সকালে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে এলে এজাহারভুক্ত ১৫জন আসামি আসামিকে কারাগারে পাঠান আদালত। 

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তৌফিকুল ইসলামসহ ১৪জন পাহারাদার দুটি নৌকা নিয়ে জলমহালটিতে যান। সেখানে পাইকুরাটি ইউনিয়নের বেরিকান্দি, বড়খলা, বেখইজোড়া,সুনই ও জয়শ্রী ইউনিয়নের লক্ষণখলা গ্রামের ৩০ থেকে ৩৫ জন জেলে জলমহালটিতে অবৈধভাবে খনা (মশারি) জাল পেতে মাছ ধরছিলেন। আর আটটি নৌকায় আরও ৩০-৩৫জন জেলে এই মাছ ধরার কাজে সহযোগিতা করছিলেন।

ওইদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে জেলেদেরকে মাছ ধরতে বাধা দিলে পাহারাদারদের দিকে ইট ও পাথরের টুকরা নিক্ষেপ শুরু করেন জেলেরা। এক পর্যায়ে তারা পাহারাদারদেরকে মারধর করতে করেন।

পরে জেলেদের ইটের ছোঁড়া আঘাত ও মারধরে তৌফিকুল ইসলাম নামের ওই পাহারাদার অচেতন হয়ে নৌকা থেকে পানিতে পড়ে যান। এরপর জেলেদের দল সেখান থেকে সটকে পড়ে।  ওইদিন রাত আটটার দিকে জলমহাল থেকে তৌফিককে উদ্ধার করে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ধর্মপাশা থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামীম কবীর বলেন, সুনই জলমহালটির পাহারাদার তৌফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার ৩৮জন এজাহারভূক্ত আসামি রয়েছেন। এদের মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে ৫জন আসামি জামিনে রয়েছেন।  এই মামলার ১৫জন  আসামি রোববার সকালে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে এসে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জামিন আবেদন নাম মঞ্জুর  করে হত্যা মামালার এই ১৫জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এসএ-০১/আরএম-০৪