খেলা ডেস্ক
অক্টোবর ২৭, ২০২২
০৯:০১ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ২৭, ২০২২
০৯:০১ অপরাহ্ন
১রানের আক্ষেপ থেকে গেল পাকিস্তানের। জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৩১ রানের স্বল্প পুঁজির লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ১২৯ রানে। ফলে ১ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো পাকিস্তানকে।
এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক বাবর আজমকে হারিয়ে হোঁচট খায় পাকিস্তান। এরপর আবার দলীয় ২৩ রানে পাক শিবিরে আঘাত হানেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ১৪ রানের মাথায়। যদিও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শান মাসুদ। তবে খানিকবাদেই আবারও ইফতিখারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে পাকিস্তান।
এমন অবস্থা থেকে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন শাদাব খান, সঙ্গে শান মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে। দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন এই দুই ব্যাটার। তবে বড় আঘাত আসে ১৩ তম ওভারে সিকান্দার রাজার বোলিংয়ে। এক ওভারে এই অলরাউন্ডার ফেরান হায়দার আলি এবং শাদাব খানকে। তখনই ম্যাচের গতিপথ বদলাতে থাকে। এরপর অবশ্য পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে নেওয়ার জন্য মাসুদ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
তবে ব্যক্তিগত ৪৪ রানে সেই রাজার বলে কাটা পড়েন মাসুদ। ম্যাচ তখনো দুলছিল পেন্ডুলামের মতো। পাকিস্তানের হয়ে এরপর চেষ্টা চালাতে থাকেন মোহাম্মদ নেওয়াজ এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম। তবে ঠিক ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে পারছিলেন না কেউই। শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২২ রান।
এরপরই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নেওয়াজ, ১৯ তম ওভারে নাগারাভার লো-ফুলটস বল পাঠিয়ে দেন সীমানার ওপর দিয়ে। ফলে শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১১ রানের।
তখনো চলছে উত্তেজনার পারদ, শেষ হাসি হাসবে কে? এমন অবস্থায় শেষ ওভারের প্রথম বলেই নেওয়াজ নিলেন ৩ রান। পরের বলেই ওয়াসিমের চার। এরপর সিঙ্গেল, পর-পর ডট। ২ বলে ৩ রানের প্রয়োজন। এমন সময়ে আউট নেওয়াজ, ম্যাচ জমে ক্ষীর। শেষ বলে প্রয়োজন ১ বলে ৩ রান। শাহীন আফ্রিদি স্ট্রেইট ড্রাইভে মেরে ২ রান নেওয়ার চেষ্টা করলেও ১ রানে থামতে হয়, রান আউটের কবলে পড়ে। ফলে জিম্বাবুয়ের জয় ১ রানে।
আরএম-০৭