সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে পেট্রোল পাম্প মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক


জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
০৫:৪২ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
০৫:৪২ অপরাহ্ন



সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে পেট্রোল পাম্প মালিকরা


সিলেটের জ্বালানি তেলের সংকট দীর্ঘদিন ধরে। তার উপর বর্তমানে রেলওয়ের ওয়াগন সংকট এবং শীত মৌসুমে চাহিদা বাড়ায় সেই সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। চাহিদার তুলনায় বর্তমানে ডিজেলের সরবরাহ ৩০ শতাংশ। পেট্রোলের সরবরাহ চাহিদার ২০ শতাংশের কম। এ থেকে উত্তোরণে দীর্ঘদিন ধরে নানা আন্দোলন করে এবার অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও পেট্রল পাম্প এ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটি।

আজ শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী। আগামী ২২ জানুয়ারি রবিবার থেকে এ ধর্মঘট শুরু হবে। 

পেট্রোল পাম্প মালিকদের সূত্রে জানা গেছে, ‘মূলত সিলেটে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিনটি তেল পরিশোধনাগার আছে। অজানা কারণে এগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলের সংকট অব্যাহত রয়েছে। গত দুই বছর ধরে এ নিয়ে আন্দোলনের পর আন্দোলন করে যাচ্ছেন পেট্রোল পাম্প মালিকরা। কিন্তু তাতে কোনো স্থায়ী সুরাহা হচ্ছে না। কঠোর আন্দোলনে গেলে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় কিছুদিন সরবরাহ বাড়ে। তারপর ফের সংকট। বর্তমানে রেলওয়ের ওয়াগন সংকট এবং শীত মৌসুমে চাহিদা বাড়ায় তার সঙ্গে সরবরাহের ফারাক অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় সিলেটের ব্যবসায়ীদের ভৈরব থেকে নিজ খরচে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এতে বাড়ছে পরিবহন ব্যয়।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘এত সংকট নিয়ে পাম্প চালানো সম্ভব নয়। তাই আগামী ১৮ জানুয়ারি বুধবার থেকে ডিপু থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ থাকবে। আর ২২ জানুয়ারি রবিবার থেকে সিলেটর সকল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।’

এএফ/০৪