ধর্মপাশা প্রতিনিধি
এপ্রিল ০৪, ২০২৩
১১:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৪, ২০২৩
১১:২৭ অপরাহ্ন
বোরো ধান শুকানোর খলা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বসতঘর ভাংচুর ও হামলায় নারী পুরুষসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের সরস্বতীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুতর আহত সাফিয়া আক্তার (৫৫)কে ওইদিন রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত সাফিয়ার ছোট ভাই মো.জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে ১৩জনকে আসামি করে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী ও ধর্মপাশা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের সরস্বতীপুর গ্রামের বাসিন্দা সাফিয়া আক্তার (৫৫) ও তাঁর আপন বড় ভাইয়ের ছেলে সাদেক বাচ্ছু (৪০) সোমবার সকাল ১১টার দিকে নিজ গ্রামের দক্ষিণপাশে থাকা সরকারি জায়গায় বোরো জমির ধান শুকানোর জন্য খলা তৈরি করতে যান। এতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ওই দুজনের সঙ্গে দূর্ব্যবহার করেন একই গ্রামের বাসিন্দা শামছু মিয়া (৫০)।
ওইদিন বিকেল পাঁচটার দিকে এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সাদেক বাচ্ছু । থানায় অভিযোগ করার খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শামছু মিয়ার নেতৃত্বে তাঁর ১০/১২জন লোক লাঠি, এক কাই্টটা, টেডা, রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাফিয়া আক্তারের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে তাঁর বসতঘরের বেড়া ভাঙচুর করে।
এ সময় হামলাকারীরা টেডা দিয়ে সাফিয়া আক্তার(৫৫)কে লক্ষ্য করে আঘাত ছুড়লে এটি তার বুকের ডান পার্শে ও এক কাইট্টা দিয়ে আঘাত করলে এটি তাঁর ছেলের আর্শাদ মিয়ার (৩৫) বামপায়ের উরুতে লাগলে তাঁরা দুজন আহত হন। এ সময় সাফিয়া আক্তারের আরেক ছেলে মারুফ মিয়া (২৭) কেও এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।
ওইদিন রাত ১০টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাফিয়া আক্তারকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। পরে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
রাতেই তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে বসতঘর ভাঙচুর, হামলা ও মারধরের ঘটনায় জড়িত সরম্বতীপুর গ্রামের বাসিন্দা শামছু মিয়া (৫০),সাহানুর মিয়া (৪০) ও সাজুল মিয়া (৩২)কে আটক করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধর্মপাশা থানার এসআই আবদুস সবুর বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আটক হওয়া তিনজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা চলছে।
এসএ-০১/এসই-১০