অভিযোগ প্রশ্নে ‌‘ক্ষমা চাইলেন’ আনোয়ারুজ্জামান

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ২৫, ২০২৩
০১:৪৩ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২৬, ২০২৩
০২:৫৩ অপরাহ্ন



অভিযোগ প্রশ্নে ‌‘ক্ষমা চাইলেন’ আনোয়ারুজ্জামান


সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একাধিক মেয়র প্রার্থীদের অভিযোগ করা প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘আমার অভিযোগ করার মতো কিছু নেই। আমি কারো বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেই না। অভিযোগ করার মতো কিছু... আপনারা সাংবাদিকরা আছেন, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। আর যদি আমাদের পক্ষ থেকে যদি কোন ইয়ে... হয়, তাহলে আমি ক্ষমা প্রার্থী।’

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ১১টার দিকে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মেয়র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পর গণ্যমাধ্যমে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে বুধবার (২৪ মে) ‘সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের আচরণ পক্ষপাতমূলক’ বলে অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল।

পড়ুন- নির্বাচন কার্যাল‌য়ের আচরণ পক্ষপাতমূলক অ‌ভি‌যোগ জাপার প্রার্থী বাবু‌লের

মনোনয়ন ফরম জমা দিতে কয়েক’শ নেতাকর্মীর শোডাউনে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পাঁচ জন আমরা সেখানে (নির্বাচন অফিস) গিয়েছিলাম। এখানে সাংবাদিকরা ছিলেন। অনেক কাউন্সিলর ঢুকে গিয়েছেন। অনেক মানুষ ঢুকে গিয়েছে। এটাও সত্য কিছু লোক সেখানে গিয়েছে। কিন্তু সবাই আমাদের লোক না। এক সঙ্গে ঢুকতে গিয়ে মানুষ বেশি হয়ে গেছে।’

ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন, ‘আমি ইভিএম নিয়ে কোন শঙ্কা দেখি না। যারা ভোট চায় না। যারা নির্বাচন চায় না তারাই এর নিয়ে মানুষের মনে শঙ্কা সৃষ্টি করছে।’

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিয়ে বলেন, ‘এখন যারা প্রার্থী আছেন তারা সাবাই শক্তিশালী। নির্বাচনে যারা আসে নাই তাদের নিয়ে আলোচনারও কিছু নেই।’

এদিকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫ স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মেয়র  প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফয়সল কাদির বৈধ ও বাতিল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

মনোনয়ন বৈধ হওয়া প্রার্থীরা হলেন- মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), হাফিজ মাওলানা মাহমুদুুল হাসান (হাতপাখা) ও মো. জহিরুল আলম (জাকের পার্টি), মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (স্বতন্ত্র), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (স্বতন্ত্র)।

মনোনয়ন বাতিল হওয়া মেয়রপ্রার্থীরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তারা হলেন- সামছুন নুর তালুকদার, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান, মাওলানা জাহিদ উদ্দিন, মো. শাহজাহান মিয়া, মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।

আগামী ২১ জুন সিসিক নির্বাচনের ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। এর আগে  প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ জুন। 

সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীর ওয়ার্ড ৪২টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ ও নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট কেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১হাজার ৩৬৪টি।


এএফ/০৩