তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন, বৃষ্টি নামবে কবে?

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ০৬, ২০২৩
০২:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০৬, ২০২৩
০২:৪৫ অপরাহ্ন



তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন, বৃষ্টি নামবে কবে?


তীব্র রোদে তপ্ত চারপাশ। গরমে কোথাও নেই শান্তি। গরমের সঙ্গে লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এমন অবস্থায় মানুষ বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করলেও আপাতত সুখবর দিতে পারছে না আবহাওয়া অফিস। আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিন আবহাওয়ার পরিস্থিতি এমন অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ফলে তীব্র গরমে অতিষ্ট নগরবাসীকে গরমের মধ্যে আরও কিছুদিন কাটাতে হবে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহের পরিধি ৫৯ জেলায় বিস্তৃত হয়েছে। এর মধ্যে লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করায় তীব্র গরম জনজীবনকে আরও অসহনীয় করে তুলেছে। খোদ রাজধানীতে দিন-রাত কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। গ্রামপর্যায়ে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। তীব্র গরমের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে রিকশাওয়ালা, বাসের ড্রাইভার-হেলপার, হকার, নির্মাণ শ্রমিকরা এই তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে মানুষের অবস্থা চরমে। শ্রমজীবী আর গণপরিবহনের যাত্রীদের অবস্থাও সঙ্গীন। ঘামে ভেজা মানুষ খানিকটা স্বস্তির খোঁজ করলেও মিলছে না সেই স্বস্তি। নগরীতে লোকাল বাসে চলাচলকারী যাত্রীদেরও ভোগান্তির যেন শেষ নেই। যাত্রী নিয়ে ছুটে চলা প্রতিটি গাড়ির ভেতরে উনুনের মত উত্তাপ। ঘেমে একাকার যাত্রীরা। টপটপ করে পানি ঝরছে তাদের শরীর বেয়ে।

অফিসগামী মানুষ গরম উপেক্ষা করে অফিসে পৌঁছালেও ভালো নেই দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। রিকশা চালক, পরিবহন শ্রমিকরা নাকাল হচ্ছেন তীব্র গরমে। পথের পাশে একটু ছায়া পেলেই সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছেন মানুষ। সেখানে কিছুটা বাতাসের দেখা মিললেও সেটিও গরম হাওয়া।

গরমের কারণে ঘরে থাকাও কষ্টকর হয়ে গেছে। লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে ঘরে থাকা কষ্টকর হয়ে গেছে। আর বিদ্যুৎ এলে ফ্যানের গরম বাতাসেও গা ভিজে যাচ্ছে। এমন অবস্থার মধ্যে বৃষ্টি নিয়ে সুখবর আসেনি আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে।

সংস্থাটির বুধবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রাজশাহী ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


এসই/০৫