জগন্নাথপুরে জনসাধারণের রাস্তা দখলে ব্যর্থ হয়ে অপপ্রচার

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ০৬, ২০২৩
০৯:৫৩ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০৬, ২০২৩
১০:০৫ অপরাহ্ন



জগন্নাথপুরে জনসাধারণের রাস্তা দখলে ব্যর্থ হয়ে অপপ্রচার
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় দেয়াল তুলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে। তা ভেঙে ফেলায় বাড়ি দখলের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে অপপ্রচার করা হচ্ছে। শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন উপজেলার এরালিয়াবাজার মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত কালা মিয়ার পুত্র মো. আজাদ মিয়া।

লিখিত ব্ক্তব্যে তিনি বলেন, 'রাস্তাটি দিয়ে আমাদের গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ হাওড়ে ও কবর স্হানে যাতায়াত করেন। এখানে আমাদের পারিবারিক ২টি ও গ্রামের ১ টি কবর স্হান রয়েছে। যেখানে  যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি।'

তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালে আমাদের এক মুরুব্বী মহিলার লাশ ঐ রাস্তা দিয়ে কবর স্হানে নিয়ে যাওয়ার সময় মুহিত নামের এক ব্যক্তি বাধা প্রদান করেন। এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ কোর্টে দুটি সত্ব মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৫ সালে আমাদের গোষ্ঠীর এবং গ্রামের সালিশি ব্যাক্তি বর্গের উদ্যোগে প্রথমে লন্ডন ও পরে বাংলাদেশে বিষয়টি আপোশো মিমাংসা হয়।

আজাদ মিয়া বলেন, 'মুহিত ও মুহিব গংদের পক্ষ থেকে একটি অঙ্গিকারনামা ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে লেখা হয়। এতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে- ভবিষ্যতে এই রাস্তায় চলাচলে বাধা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু ২০২০ সালে কুচক্রী মহল পুনরায় এই রাস্তা দিয়ে গ্রামের মানুষকে; এমনকি গরু-ছাগল চলাচলে বাধা নিষেধ ও অত্যাচার শুরু করে।'

এতে অতিষ্ট হয়ে পুনরায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হয় বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কোর্টে একাধিক সত্ব মামলাসহ রাস্তার মামলাটি ও চলমান রয়েছে। কিন্তু ঐ কুচক্রী মহল আদালতের তোয়াক্কা না করে রাস্তায় পাকা দেয়াল তুলে পতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।'

আজাদ মিয়া বলেন, আইনের তোয়াক্কা না করে আমাদের গ্রামের কুচক্রী  চম্পা বেগম, মুহিত মিয়া, মো. মুহিব মিয়া গং রাতের অন্ধকারে জবরদস্তিমূলকভাবে দেয়াল তুলে। এতে করে এলাকার জনসাধারণের হাওড় ও গোরস্থানে যাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। আমরা গত ২২ মে জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র পথটির প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করি।

তিনি আরও বলেন, রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করতে গিয়ে এখন তাদের দেওয়া সন্ত্রাসী তকমা মাথায় নিতে হয়েছে। তারা এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে নানা অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে অবৈধভাবে দেওয়া দেয়ালকে বাড়ির দেয়াল বলে অপপ্রচার করছে। অথচ এ রাস্তাসহ আশপাশের কিছু ভূমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে একাধিক স্বত্ব মামলা চলমান। এই কুচক্রী মহল আমাদের বেশ কিছু জমি জবরদস্তী দখল করে আছে। এছাড়াও বাড়ি দখলের চেষ্টা ও বড় অংকের টাকা চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মো. আজাদ মিয়া বলেন, 'এ রাস্তাটি শুধুমাত্র হাওড় ও গোরস্থানে যাতায়াতের পথই নয়, এই রাস্তা দিয়ে অনেক ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলেও যাতায়াত করে। ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়কে একটি  ব্রিজও তৈরি করেছে। যা এখন মুহিত ও মুহিব গং তাদের মালিকানাধীন ব্রিজ বলে দাবি করছে।

কূটকৌশলী এ চক্রের অপতৎপরতা ও মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান আজাদ মিয়া।

এএন/০১